
‘ইভিএমের তথ্য মুছবেন না’, নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের
দেশের বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম-কারচুপির অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই ভোট-যন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। আবেদনে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইভিএমের ‘বার্ন্ট’ বা ‘ব্যবহৃত’ মেমরি যাচাইয়ের জন্য কমিশনের কীরকম স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (এসওপি) রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য চেয়েছে। সেই সঙ্গে শুনানিতে বেঞ্চ এও বলেছে, ‘দয়া করে তথ্য মুছবেন না বা পুনরায় লোড করবেন না। সেগুলি শুধু কাউকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিন।’ উল্লেখ্য, শুনানিতে এডিআরের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ জানিয়েছিলেন, ইভিএমের সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার পরীক্ষার সুযোগ নেই। তাছাড়া গণনার ৪৫ দিন পর ইভিএমে ব্যবহৃত মেমরি মুছে দিয়ে নতুন তথ্য লোড করা হয়। ফলে যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। অপরাধের কারণে সাজাপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির ফের ভোটে দাঁড়ানোর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামনের সহযোগিতাও চেয়েছে আদালত। কেন্দ্র যদি এই বিষয়ে হলফনামা জমা না দেয় তবে আদালত সরকারের বক্তব্য ছাড়াই নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে বেঞ্চ। অপরাধমূলক কাজকর্মের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির সংসদ অথবা বিধানসভার ভোটে লড়ার উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ ও ৯ নম্বর ধারার সংবিধানিক বৈধতাকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ করেছেন তিনি। ৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু অপরাধে দণ্ডিত কোনও ব্যক্তি জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার ৬ বছর পর্যন্ত ভোটে লড়তে পারবেন না। আর ৯ নম্বর ধারায় দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের ৫ বছর ভোটে দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। শুনানিতে আদালত-বান্ধব বর্ষীয়ান আইনজীবী বিজয় হানসারিয়া জানান, সারা দেশে সংসদ সদস্য ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ হাজার ফৌজদারি মামলা এখনও বিচারাধীন।