
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। অন্ত্রের অস্ত্রোপচারের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন শিল্পী। তারপর আইটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। মালটি অর্গান ফেইলিওরের পরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হয় প্রতুলবাবুর। রবীন্দ্রসদনে প্রয়াত শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ‘আমি বাংলায় গান গাই’-এর স্রষ্টাকে গান স্যালুটের বন্দোবস্ত করা হয়। সেখানে সকলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে ওঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল ছিল। গত কয়েকদিন ধরেই ওঁর শরীর অত্যন্ত খারাপ ছিল। আমি যখনই দেখা করতে চাইতাম, উনি দেখা করতেন। পুজোর পরে একটা ছোট অনুষ্ঠান করলাম। ওঁকে ডাকলাম। উনি এলেন, গান শোনালেন। এই তো সেদিন হাসপাতালে আমি দেখে গেলাম। বুঝতে পারছিলাম ওঁর শরীরে কষ্ট হচ্ছে। চোখ দিয়ে জল পড়ছিল। আমি আঙুলগুলো টিপে দিলাম। রোজ আমি চিকিৎসকদের থেকে খোঁজ নিয়েছি। আজ সকালে ফোন দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি। এরপর আমি অরুপ, ইন্দ্রনীল, দোলা’কে পাঠালাম। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই প্রতুলবাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে দ্রুত। সঙ্গে ছিল অ্যান্টিবায়োটিক অ্যালার্জি সংক্রমণ এবং নিউমোনিয়া। পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে ওঠে। সংজ্ঞাহীন ছিলেন অশীতিপর গায়ক। গায়ক অসুস্থ থাকাকালীন তাঁকে দেখতেও গিয়েছিলেন মমতা। তাঁর কথায়, “যে মানুষকে এত প্রাণবন্ত দেখেছি, তাঁকে এমন দেখতে কষ্ট হয়। আমি মনে করি, বেঁচে থাকাকালীন যেমন ছিলেন, সেটাই মনে রাখব। আজ এলাম যদিও। আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এতটাই গভীর ছিল ওঁর। প্রতুল মুখোপাধ্যায় ভাল থাকুন। ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান ওঁকে ছাড়া ভাবাই যায় না।” এরপর এসএসকেএম-এ সঙ্গীত শিল্পীর দেহদান করা হবে।