
কল্যাণীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বাজি কারখানার মালিক
কল্যাণীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘বেআইনি’ বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বিস্ফোরণের পর পরিবার-সহ গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবারই পুলিশি তল্লাশিতে ধরা পড়েন খোকন। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কল্যাণীর রথতলা এলাকা। একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৪ জনের। মৃতদের নাম বাসন্তী চৌধুরী, অঞ্জলি বিশ্বাস, রুমা সোনার এবং দুর্গা সাহা। গুরুতর জখম হন উজ্জ্বলা ভুঁইয়া নামে এক মহিলা। তিনি আপাতত চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, খোকন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি আতশবাজির ব্যবসা করেন। কিন্তু সেই ব্যবসার আড়ালে নিজেই বেআইনি বাজি কারখানা খুলে বসেন খোকন। বেশ কয়েকজন কর্মী দিয়ে ওই কারখানা চালানো হতো। আর সবটাই চলত একটি ঘুপচি ঘরে, কোনও রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই। বিস্ফোরণের পরে স্থানীয়রা খোকনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছিল। জানা গিয়েছে, ধৃত খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খোকনের অন্য কোথাও কোনও কারখানা রয়েছে কি না, তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় রানাঘাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘ওই ব্যক্তির কাছে বাজি কারখানা চালানোর লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ দমকলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, এই বাজি কারখানা চালানোর জন্য কোনও অনুমতি তাদের তরফে দেওয়া হয়নি। বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড (কল্যাণীর ২০ নম্বর ওয়ার্ড)-এর কাউন্সিলর সুব্রত চক্রবর্তী দাবি করেছেন, ওখানে যে বাজি কারখানা রয়েছে, তা জানা ছিল না। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় অবশ্য পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।