
কেজরিওয়ালের সম্ভাব্য হার নিয়ে মুখ খুললেন আন্না হাজারে
দুর্নীতি বিরোধী যে লড়াই আন্না হাজারে শুরু করেছিলে, তার ওপর ভর দিয়েই নিজের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন একদা সরকারি চাকরি করা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিগত একদশকে দিল্লির গদিতে ছিল তাঁর দল – আম আদমি পার্টি। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের ভোটে তো কার্যত ঝাড় ঝড় তুলেছিল তারা। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। নিজে তিনি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। এর জন্যে তিনি জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। এহেন কেজরিওয়ালের সম্ভাব্য হার নিয়ে মুখ খুললেন আন্না হাজারে। দিল্লির ভোট নিয়ে আজ সাংবাদিকদের আন্না বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম প্রার্থীর স্বভাব, ভাবনাচিন্তা শুদ্ধ হতে হয়। জীবনে নিষ্কলঙ্ক হতে হয়। কাউকে দোষারোপ না করে ত্যাগের পথ অনুসরণ করা উচিত। এই গুণগুলিই ভোটারদের কাছে ওকে বিশ্বস্ত করে তুলেছিল। আমি বলেছিলাম, কিন্তু ও কথা শোনেনি। এবং মন দিল মদে… কেন এই ইস্যুটা উঠে এল? অর্থক্ষমতা, ধন-দৌলত… তাতেই ভেসে গেল ও।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজেপি দিল্লির ৪৬টি আসনে এগিয়ে আছে, যা কি না ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১০টি আসন বেশি। এদিকে আম আদমি পার্টি এগিয়ে ২৪টি আসনে। কংগ্রেস এখনও শূন্যে দাঁড়িয়ে। আম আদমি পার্টির হেভিওয়েট নেতা – অতিশী, সৌরভ ভারদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনরা পিছিয়ে আছেন নিজেদের আসনে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে নয়াদিল্লি আসন থেকে পিছিয়ে আছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই নয়াদিল্লি আসনেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই আসনে তিনি নিজে পিছিয়ে। এই আবহে বিজেপি ২৭ বছর পর ফের একবার দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।