খতম শতাধিক জঙ্গি, মৃত্যু হয়েছে ৪০ পাক সেনার, আক্রান্ত ৯ পাক সেনাঘাঁটি, সামরিক অভিযানের বিস্তারিত জানাল জানালো ভারতীয় সেনা 

পাকিস্তানের জঙ্গি হামলার পাল্টা অপারেশন সিঁদুরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। এর জবাবে ভারতে হামলা করার চেষ্টা করে পাকিস্তান। বায়ুসেনার কর্তা একে ভারতী বলেন, “জম্মু, নাল, ডালহৌসি, জয়সলমীর, উধমপুর‍্, পাঠানকোটে শত্রুরা চেষ্টা করে পাকিস্তান। আমরা সবকটা জায়গায় ওদের ব্যর্থ করি। সমর ও গরুড় কমান্ডোর স্নাইপাররা এগুলো ব্যর্থ করে দেয়”। সাংবাদিক সম্মেলনে বারবার তিন সেনা কর্তা জানান, যে ভারত শুধু পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতেই আঘাত করেছিল, সাধারণ মানুষ বা পাকিস্তান সেনাকে ভারত আঘাত করার চেষ্টা করেনি। কিন্তু বারবার পাকিস্তানের হামলার পরে জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। পাকিস্তানের ৯ জায়গায় আঘাত করা হয়। পাসরুর এয়ার ডিফেন্স রাডার, চুনিয়ান এয়ার ডিফেন্স রাডার, আরিফওলা এয়ার ডিফেন্স রাডার, সারগোদা এয়ার ফিল্ড (এখানেই এফ ১৬ থাকে, রানওয়ে ধ্বংস), রহিম ইয়ার খান এয়ারফিল্ড (রাডার, কমপ্লেক্স ও।রানওয়ে), চাকালা বা নুর খান এয়ারফিল্ড, সাক্কার এয়ারফিল্ড, ভোলারি এয়ারফিল্ড, জেকোবাবাদ এয়ারফিল্ড। পাকিস্তানের কটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে, তারও জবাব দেন বায়ুসেনা কর্তা একে ভারতী। তিনি বলেন, “ওদের একাধিক বিমানকে নামানো হয়েছে। সংখ্যা এখানে জানাব না। হাইটেক বিমান ওদের ধ্বংস করা হয়েছে”। ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ও পাক এয়ারবেসে কতটা ক্ষয়ক্ষতি করেছে তার খতিয়ান দেন সেনা আধিকারিকরা ৷ তাঁরা বাহাওয়ালপুরে জইশ জঙ্গি সংগঠনের সদর কার্যালয় থেকে মুরিদকেতে জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ হিসাবে ছবি দেখান ৷ ডিজিএমও বলেন, “ন’টি জঙ্গি ঘাঁটিতে একশোরও বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে ৷ এর মধ্যে ইউসুফ আজহার, আবদুল মালিক রউফ এবং মুদাসিং আহমেদের মতো জঙ্গিরাও ছিল ৷ তারা 1999 সালে IC814 বিমান অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল ৷ ” এই সাংবাদিক বৈঠকে বেশ কয়েকবার একটি বিষয় উঠে আসে ৷ সেনার তরফে বলা হয়, ৬ মে মধ্যরাতে ভারতীয় সেনার লক্ষ্য ছিল শুধুই জঙ্গিঘাঁটি ৷ অন্য কিছু নয় ৷ এরপর পাকিস্তান ভারতের সেনাঘাঁটি, নাগরিক পরিকাঠামোয় সশস্ত্র ড্রোন থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পর ভারত তাদের এয়ারবেসকে নিশানা করে ৷ পাকিস্তানকে প্রায় প্রতিটি নিশানাই রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷ আকাশপথ ও স্থলপথের সঙ্গে সঙ্গে নৌবাহিনীও হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল ৷ নৌ-বাহিনীর তরফে ভাইস অ্যাডমিরাল এএন প্রমোদ বলেন, “আরব সাগরেও ভারতীয় নৌ-সেনা মোতায়েন ছিল ৷ যে কোনও মুহূর্তে নিশানা লক্ষ্য করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হতে পারে ৷ তারা সদা সতর্ক ছিল ৷ এমনকী করাচিতেও হামলা চালানোর কথা ভাবা হয়েছিল ৷” সংঘর্ষ বিরতির প্রসঙ্গে ডিজিএমও জানান, শনিবার বেলা ৩টে ৩৫ মিনিটে পাকিস্তানের ডিজিএমও যোগাযোগ করেন ৷ তারপর বিকেল ৫টা থেকে সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হয় ৷ তিনি বলেন, “আমরা অসম্ভব সংযম দেখিয়েছি ৷ আমাদের আক্রমণ প্ররোচনামূলক ছিল না ৷”

error: Content is protected !!