‘তোমাদের দিয়ে জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়ব’, বিজেপিকে তোপ অভিষেকের

আজ কুলপি বিধানসভাকেন্দ্রের ঢোলাহাট মাঠে সভা করতে গিয় বিজেপিকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন , বাংলার সংস্কৃতি জানে না এরা। ক’দিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলে গিয়েছেন বিবেকানন্দ ঠাকুর।ক্ষমতায় এলে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে বলছে। মতুয়ারা যদি নাগরিকই না হন। তাহলে কাদের ভোটে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলেন? মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর জীবনযাত্রায় কোনও পরিবর্তন নেই। আর বিজেপি নেতাদের দেখুন। প্রতি বছর বাংলা থেকে ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যায় কেন্দ্র। ওই টাকা কি মোদির টাকা। এটা সাধারণ মানুষের টাকা। তার পর আমপানে ১ হাজার টাকা দিয়ে বলছে, মোদীজি টাকা পাঠিয়েছেন। বসিরহাটের দিকে ১৫ মিনিট হেলিকপ্টার নমিয়ে ঘুরেই পালিয়ে গিয়েছেন মোদী। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় ঘুরেছেন।  কারা বিজেপি-র সঙ্গে ভিতরে ভিতরে যোগাযোগ রাখছিল জেখলেন তো? দলের স্টিয়ারিং এখন একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও উন্নয়ন করেনি। অথচ দিলীপ ঘোষের বাড়ির লোকই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহা জং ধরবে না। আগামী ৫০ বছর বাংলায় তৃণমূল থাকবে।  নেতাজি কি রাজনীতির পাত্র? ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মদিনে এক জন মহিলাকে অসম্মান করছে? বাংলার লোক বলে গাত্রদাহ? এটা মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর করার লড়াই নয়, এটা বহিরাগতদের বাংলা থেকে হটানোর লড়াই। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গেই এক জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। তাই ওদের এত সমস্যা। দিলীপ ঘোষ বলেছেন মা দুর্গার কোনও পরিচয় নেই। মা-বোনেদের বলব, যারা নারীদের সম্মান করতে জানে না, যারা হাথরস ঘটায়, তাদের দিল্লি বিদায় করুন। জয় শ্রীরাম না বলে জয় সিয়া রাম বলার ক্ষমতা আছে বিজেপির। করতে পারবে না। কারণ মহিলাদের সম্মান দিতে জানে না এরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাইরে থেকে নেতা আনাতে হচ্ছে, তৃণমূল থেকে নেতা ভাঙাতে হচ্ছে। এদিন অভিষেক বলেন, “ আমাকে ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমার গলা কেটে দিলেও ‘জয় বাংলা’, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ জিন্দাবাদই বেরোবে। ভাববাচ্যে কথা বলেন কেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি, আপনার কথায় ইডি-সিবিআই ওঠে বসে, আমার নিতে ভয় কেন? ‘ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়’। আমি নাম নিয়ে বলছি, অমিত শাহ বহিরাগত, রাজনাথ সিংহ বহিরাগত, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। চুরি করতে সুবিধা হবে বলে ডাবল ইঞ্জিন সরকার, যাতে চুরি করলে ধরা না পড়ে। যেমন গুজরাতে চোর ধরা পড়ে না।  বিজেপির মুখে শুধু জয় শ্রীরাম, বলছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার বানাব, মমতার এক ইঞ্জিনের সরকার তো আগে সরিয়ে দেখাক।” অভিষেক বলেন, “ নোট নেবেন পদ্মফুলের, ভোট দেবেন জোড়াফুলে। টাকা দিলে নেবেন। কাজে লাগাবেন। ভোট কিন্তু জোড়াফুলেই দেবেন। পদ নয় পতাকা, নেত্রী শুধু মমতা। বলছে বাংলার জনতা, নবান্নে আবার মমতা।বলছে, দুর্গার পিতৃপরিচয় নেই? কত ঔদ্ধত্য ভাবুন।মহিষাসুর বধ মনে আছে তো? সে ভাবেই বধ করা হবে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে, আর এক দিকে, বিজেপি, ইডি-সিবিআই, জগাই-মাধাই। মহিষাসুর বধ হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। অমিত শাহ বলেছেন, মমতাজিও জয় শ্রীরাম বলবেন। আমিও বলছি, তোমাদের দিয়ে জয় সিয়া রাম বলিয়ে ছাড়ব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!