
নতুন আয়কর বিল অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন আয়কর বিল অনুমোদন করল। আগামী সপ্তাহে বাজেট অধিবেশনের অংশ হিসেবে সংসদে এই বিল পেশ করা হতে পারে। আয়কর আইন ১৯৬১ এর পরিবর্তে এই বিল আনা হচ্ছে। এই বিলের লক্ষ্য হল ভারতের কর ব্যবস্থাকে আরও সরল ও আধুনিক করে তোলা। এছাড়াও কর নিয়ে যে আইনি বিধান রয়েছে তাও করদাতারা সহজেই বুঝতে পারবেন। তবে বিলে নতুন কর চাপানো হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিলে কোনও শর্ত, ব্যাখ্যা বা দীর্ঘ শব্দ থাকবে না। নতুন আয়কর বিলটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উত্থাপন করা হবে। তারপরে সেটি পাঠানো হবে সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। অধিবেশনটি ১০ মার্চ পুনরায় শুরু হবে এবং ৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন, যে সংসদের এই অধিবেশনে নতুন আয়কর বিলটি পেশ করা হবে। নির্মলা সীতারমন প্রথম ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বাজেটে ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পরিবর্তন আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সংশোধিত আয়কর আইনটি সরল, স্পষ্ট এবং সহজে বোধগম্য হবে। অর্থমন্ত্রী সীতারামন জানিয়েছিলেন, যে এটি আইনি বিরোধ কমাবে এবং করদাতাদের কর নিয়ে স্বচ্ছতা প্রদান করবে। একইসঙ্গে বিতর্কও কমাবে। পরে গত ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-২৬ বাজেট পেশের সময় সংসদে আয়কর বিলের উত্থাপন নিশ্চিত করেন।এই আইনকে সংক্ষিপ্ত, স্পষ্ট এবং সহজে বোঝার জন্য সিবিডিটি একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি বিরোধ, মামলা-মোকদ্দমা কমাবে এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করবে। এছাড়াও, আয়কর আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করার জন্য ২২টি বিশেষ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আয়কর আইন পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে আয়কর বিভাগ ৬,৫০০ টি পরামর্শ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, এবারের বাজেটে বার্ষিক আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। আগে এক্ষেত্রে কর দিতে হত। তবে এবার থেকে এই বার্ষিক এই আয় থাকলে কর গুনতে হবে না।