
নিউটাউনে উদ্ধার নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ, মায়ের বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে পালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণ করে খুন!
নিউ টাউনে উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ এক নাবালিকার। মায়ের বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ময়নাতদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছেন বিধাননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক। খুনের আগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যার ফলে এই মামলায় পকসো আইনের ধারা যোগ করেছে পুলিশ। জানা হিয়েছে, নিহত নাবালিকা নিউ টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার। বোনকে মারায় মা বকাবকি করেন নাবালিকাকে। তার পর পড়তে বসতে বললে আরেক দফা বচসা হয় ২ জনের। শেষে মা মেয়েকে বলেন, তোকে নিয়ে অশান্তিতে আর পারছি না। তুই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা। এর কিছুক্ষণ পরেই একটি চিঠি লিখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় নাবালিকা। চিঠিতে সে লেখে। তুমি আমাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছো, তাই আমি চলে যাচ্ছি। চিঠি দেখেই নাবালিকার খোঁজ শুরু করে পরিবার। কিন্তু সারা রাত তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। শেষে ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ নিউ টাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ লোহার ব্রিজের কাছে দেহ উদ্ধারের পর মেয়েকে সনাক্ত করেন মা। নিহত নাবালিকার মা জানিয়েছেন, মেয়ের কাছে টাকা পয়সা কিচ্ছু ছিল না। কোনও ফোন নিয়ে সে বেরোয়নি। এমনকী তার শরীরে কোনও দামি গয়নাও ছিল না। বিধাননগর হাসপাতালে ওর দেহ দেখি। দেখি শরীরের বিভিন্ন অংশে আঁচড়ের দাগ। গলাতেও আঁচড়ের দাগ রয়েছে। ওকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ওদিকে পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকাকে খুন করা হয়েছে এব্যাপারে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে নিশ্চয়তা মিলেছে। এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। কী ভাবে নাবালিকা বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে ওই জায়গায় পৌঁছল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, খুনের আগে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনের ২টি ধারা যোগ করেছে পুলিশ।