স্কুলে সরস্বতী পুজোয় পৌরোহিত্য করলেন পঞ্চকন্যা

আজ, রবিবার (এবং কাল, সোমবার) সরস্বতী পুজো। পড়ুয়ারা মেতে উঠেছে স্কুল–কলেজে সরস্বতী পুজোর আনন্দে। সরস্বতী পুজোকে ঘিরে সারা বছর ধরেই পড়ুয়াদের চলে নানা পরিকল্পনা। তবে এবার দক্ষিণ শহরতলির নরেন্দ্রপুর এলাকার শ্রীখণ্ডা ইস্ট গড়িয়া এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের পাঁচ ছাত্রীর পরিকল্পনা ছিল একটু বিশেষ। পুজোর প্রাক্‌–মুহূর্তে একটু বেশিই আবেগে ভাসছে পঞ্চকন্যা। পঞ্চকন্যা—সায়নী দেবনাথ, সৌমিলী পাল, মেঘনা মণ্ডল, সুপ্রাপ্তি আদক, অনসূয়া ভট্টাচার্য। এ বছর স্কুলের সরস্বতী পুজোর শুধু আয়োজনই নয়, নবম–দশমের এই পাঁচ কিশোরী মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে বাগদেবীর আরাধনাও করল। সদ্য–প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা বসু বহু দিন ধরেই চেয়েছিলেন এমন একটা অসাধ্যসাধন করতে। অবশেষে অন্য শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং পরিচালন কমিটির সদস্যরা তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ায় মেয়েদের পৌরোহিত্যে সরস্বতী পুজোর আয়োজনে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন। তার পর থেকে অবশ্য বাড়িতে শুরু হয় প্রস্তুতি। কেউ সরস্বতী পুজো–পদ্ধতির বই উল্টেপাল্টে পড়েছে। আবার কেউ পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্র এই ক’দিনে একেবারে কণ্ঠস্থ করে ফেলেছে। কেউ আবার সংস্কৃত উচ্চারণ ঠিকঠাক করতে ইউটিউবেরও সাহায্য নিয়েছে। আচমন থেকে আসন–শুদ্ধি, পঞ্চ দেবতার পুজোর সঙ্গেই পুস্তিকা পুজোর পদ্ধতি অনেকটাই এখন জানা হয়ে গিয়েছে ওদের। গোটা পর্বটা ঠিকঠাক ভাবে ওদের দিয়ে উতরে দিতে গত কয়েক দিন ধরে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সূরজ দাসও সতত সজাগ। পুজোয় পৌরোহিত্য করার সুযোগ পেয়ে গুগল ঘাঁটতে গিয়ে সায়নীরা জেনেছে বৈদিক যুগের মহীয়সী অপালা, বিশ্ববারা, মৈত্রেয়ী, লোপামুদ্রাদের কথা।

error: Content is protected !!