২৭ বছর পর দিল্লিতে ফুটল পদ্ম, শূন্য কংগ্রেস

দিল্লির মসনদ বিজেপিরই দখলে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রাজধানীর জনতার রায় গেরুয়া শিবিরের দিকেই। ফলে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। দিল্লির মসনদে ফুটল পদ্ম। অন্যদিকে, আলাদা ভাবে নির্বাচনে লড়ে খাতাই খুলতে পারল না কংগ্রেস শিবির। কথায় আছে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। আজ শনিবার সকালেও সেই প্রবাদ বাক্যই সত্যি বলে প্রমাণিত হল। সকাল থেকেই আপ-কে মাথা তুলতে দেয়নি বিজেপি। পোস্টাল ব্যালট গণনার সময় থেকেই পিছিয়ে পড়েছিল আপ। পুরো গণনা চলাকালীন একটি বারের জন্যও এগিয়ে থাকা সিটের নিরিখে বিজেপিকে ছুঁতে পারেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। কিন্তু সকাল ১১টা নাগাদই এগিয়ে থাকা আসনের নিরিখে ৩৬-এর ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেছিল পদ্ম শিবির। সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ইলেকশন কমিশনের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, মোট ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৪টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি ও ২১টি-তে জয় পেয়েছে আপ শিবির। তবে অন্যদিকে, গণনা চলছে এমন আসনের মধ্যে ৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি ও মাত্র ১টি আসনে এগিয়ে আপ। খাতাই খুলতে পারেনি কংগ্রেস। ফলে পদ্ম শিবিরের জয়ে যে সিলমোহর পরে গিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। জয় নিশ্চিত বুঝতে পেরেই দুপুর থেকেই দিল্লির রাস্তায় বাজি, পটকা ফাটিয়ে উৎসবে শামিল হন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। কার্যত হার মেনে নিয়ে স্তিমিত ঝাড়ুর দাপট। এমনকী, হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে আপ-এর হেভিওয়েট প্রার্থীদেরকেও। নয়াদিল্লি আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভার্মার কাছে ৪ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এছাড়াও, জংপুরা থেকে বিজেপি প্রার্থী তরবিন্দর সিংয়ের কাছে পরাজিত হয়েছেন মণীশ সিশোদিয়া। তিনি ৬৭৫ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তবে মুখরক্ষা করেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী আতিশী। কালকাজি থেকে ৩৫৮০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। যদিও তাতে আখের লাভের লাভ কিছুই হল না আপ শিবিরের জন্য। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মণীশ সিশোদিয়া হারতেই দিল্লির আপ-এর পার্টি অফিসের দরজাও বন্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে, উচ্ছ্বাসে ভাসছে বিজেপি।

error: Content is protected !!