৭ উইকেটে জয়ী রাজস্থান

আজ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লখনউ ১৯৬ রান তুলেছিল। সেই রান অনায়াসে হাসিল করে নিল রাজস্থান রয়্যালস। জিতল ৭ উইকেটে। তবে এই জয়ের ক্ষেত্রে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এবং ধ্রুব জুরেলের পারফরম্যান্স আলাদা করে নজর কেড়েছে। লখনউকে হারানোর পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালস একদিকে যেমন পয়েন্টস টেবিলে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারল, ঠিক তেমনই ১৬ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে প্লে-অফের টিকিট কার্যত কনফার্ম করে ফেলল। রাজস্থান রয়্যালস টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। লখনউ ঘরের মাঠে যেমনটা চেয়েছিল, ব্যাট হাতে ততটাও সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। শুরুতেই কুইন্টন ডি কক (৮) এবং মার্কাস স্টোয়েনিসের (০) উইকেট লখনউকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। এরপর কেএল রাহুলের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে দীপক হুডার একটি লম্বা পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। দীপক ৩১ বলে ৫০ রান করে ফিরলেও, রাহুল তাঁর ব্যাটিং চালিয়ে যান। কিন্তু, অপর প্রান্তে আর কেউ লখনউ অধিনায়ককে সঙ্গত দিতে পারেননি। ৪৮ বলে ৭৬ রান করে দলের মান কিছুটা হলেও বাঁচিয়েছিলেন রাহুল। নিকোলাস পুরান (১১) ফের ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন। শেষপর্যন্ত আয়ুশ বদৌনি (১৩ বলে ১৮ রান) এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া (১১ বলে ১৫ রান) অপরাজিত থেকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। রাহুল হাফসেঞ্চুরি করলেও লখনউয়ের ব্যাটিংকে কিন্তু সমালোচনার মুখেই পড়তে হয়েছিল। বিশেষ করে ডেথ ওভারগুলো তারা একেবারেই কাজে লাগাতে পারেনি। জয়ের জন্য ১৯৭ রানের টার্গেট মাথায় রেখে ব্যাট করতে নামে রাজস্থান রয়্যালস। বর্তমানে এই দলটা যে ফর্মে রয়েছে, তাতে ব্যাটিং শুরু হওয়ার আগেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলতে শুরু করেছিলেন যে এই ম্যাচে রাজস্থান সহজ জয় হাসিল করে নেবে। আর হলও তাই। শুরু থেকেই মারকুটে মেজাজে খেলতে শুরু করে রাজস্থানের দুই ওপেনার জস বাটলার এবং যশস্বী জয়সওয়াল। জস এই ম্যাচে ১৮ বলে ৩৪ রান করলেন। অন্যদিকে, যশস্বী ১৮ বলে করেন ২৪ রান। তবে রিয়ান পরাগ এই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারলেন না। ১১ বলে ১৪ রান করে তিনি প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এবং তরুণ তুর্কি ধ্রুব জুরেলের জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে খেই হারাল লখনউ। শেষপর্যন্ত স্যামসন ৩৩ বলে ৭১ রান এবং ধ্রুব ৩৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন এবং দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।