সিপিএমে কারাট যুগের অবসান! কেন্দ্রীয় কমিটিতে মিনাক্ষী-কনীনিকা, বাড়ল মহিলাদের সংখ্যাও

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তরুণদের অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল ৷ সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হল রবিবার তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে ২৪ তম পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিনে ৷ এলেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মতো তরুণ নেত্রী ৷ অন্যদিকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবার দলের পলিটব্যুর থেকে বাদ গেলেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত ৷ জায়গা হয়নি স্ত্রী বৃন্দারও ৷ তাছাড়া ৮৫ জনের কেন্দ্রীয় কমিটি তৈরি হলেও নাম ঘোষণা হয়েছে ৮৪ জনের ৷ কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন বাংলার ৫ জন ৷ তালিকায় রয়েছেন, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ ৷ এছাড়া সমন পাঠক, দেবব্রত ঘোষ ও সৈয়দ হোসেনও এসেছেন কমিটিতে ৷ পাশাপাশি বাংলা থেকে পলিটব্যুরোর নতুন সদস্য হলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ৷ সমন, দেবব্রত ও সৈয়দ যথাক্রমে দার্জিলিং, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানের জেলা সম্পাদক ৷ সিপিএমের নিয়মে, এক সঙ্গে তিন স্তরের কমিটিতে থাকা যায় না ৷ ফলে, এই তিন জনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন নিতে হবে ৷ এর আগে সকালের দিকে জানা যায় দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন কেরলের প্রবীণ সিপিএম নেতা এমএ বেবি ৷ সিপিএমের সাংগঠনিক রিপোর্ট অনুসারে দলে মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৮% থেকে ২০% এবং তরুণদের ক্ষেত্রে ১৯.৫% থেকে ২২.৬%- এই বৃদ্ধি হয়েছে গত তিন বছরে। সদস্য সংখ্যার নিরিখে কেরল ও বাংলার পরে এখন তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাডু। আবার ত্রিপুরার ঠিক পেছনেই রয়েছে তেলঙ্গনা। তরুণ ও মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে সিপিএমে যে সামান্য বৃদ্ধি হয়েছে বাংলায় ঠিক তার উলটো ছবি ধরা পড়েছে। রাজ্যে আন্দোলনে ছাত্র ও যুবরা সামনের সারিতে থেকে একাধিক আন্দোলন গড়ে তুললেও দলে তাদের অন্তর্ভুক্তির হার সামান্য কমেছে।

error: Content is protected !!