
হাসপাতালে ঢোকার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অর্পিতা, পার্থর দাবি তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার
প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় ৷ আদালতের নির্দেশ মাফিক, শুক্রবার তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকরা ৷ কিন্তু, গাড়ি থেকে নামতেই চাইছিলেন না পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ এই সহযোগী ৷ রীতিমতো হাত-পা ছুড়ে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে ! এরপর একপ্রকার জোর করেই একটি হুইল চেয়ারে তোলা হয় অর্পিতাকে ৷ তারপর তাঁকে সমেত সেই হুইল চেয়ার ঠেলে নিয়ে যান সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা ৷আপাতত ইডি হেফাজতে রয়েছেন অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় ৷ ইডি হেফাজত হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়েরও ৷ পার্থর নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক সমস্যা থাকলেও অর্পিতার তেমন কোনও অসুবিধা রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত অন্তত জানা যায়নি ৷ কিন্তু, আদালত নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি 48 ঘণ্টা অন্তর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত এই দুই অভিযুক্তকেই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে হবে ৷ সেই অনুসারেই, এ দিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় পার্থ ও অর্পিতাকে ৷ অর্পিতা সাফ জানিয়ে দেন, তিনি গাড়ি থেকে নামবেন না ৷ সেইসঙ্গে শুরু হয় কান্না ৷ তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা অর্পিতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু, তবুও তিনি গাড়ি থেকে নামতে চাননি ৷ এরপর বাধ্য হয়েই জোর করতে হয় নিরাপত্তা রক্ষীদের ৷ কিন্তু, জোরাজুরিতে গাড়ি থেকে নামলেও রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অর্পিতা ৷ কোনও রকমে তাঁকে হুইল চেয়ারে তোলা হয় ৷ অন্যদিকে মন্ত্রিত্ব খোয়ানো এবং দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জোকা ইএসআই হাসপাতালে ঢোকার সময় শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। মেডিক্যাল চেক আপের পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় পার্থকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দলের সমস্ত পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক কি না। তার উত্তরে তিনি বলেন, সেটা সময় বলবে।