গুজরাতের নারদা গ্রামে গণহত্যা মামলায় বেকসুর খালাস প্রাক্তন মন্ত্রী সহ ৬৮ অভিযুক্ত

গুজরাতের নারদা গ্রাম গণহত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দিল আহমেমাবাদের বিশেষ আদালত। ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যায় নারদা গ্রামে এক মুসলিম পরিবারের ১১ জনকে হত্য়া করে উন্মত্ত জনতা। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত গুজরাট সরকারের তত্কালীন মন্ত্রী মায়া কোডনানি, বজরং দল সদস্য বাবু বজরঙ্গি-সহ মুক্তি পেলেন মোট ৬৮ জন।  হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন মোট ৮৬ জন। তদন্ত চলাকালীন ১৮ জনের মৃত্যু হয়।  অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, খুনেক চেষ্টা, বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা করা, ভয়ংকর অস্ত্রহাতে হামলা করা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এইসব অপরাধ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারত। কিন্তু বিশেষ আদালতের বিচারক ওইসব অভিযুক্তদের প্রামণের অভাবে অভিযোগ থেকে খালাস করে দেন। বিচারে মোট ২৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মামলা শুরু হয় ২০১০ সালে। এরপর মোট ৬ বিচারকের কাছে গিয়েছে ওই মামলা। ওই মামলায় আগামী ছিলেন গুজরাট সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোডনানি। তাঁর পক্ষে ২০১৭ সালে সাক্ষ্য দেন বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আদালতে তিনি বলেন, ঘঠনার সময়ে মায়া কোডনানি বিধানসভা ও সোলা হাসপাকতালে ছিলেন। নারদা গ্রামে ছিলেনই না মায়া কোডনানি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেসব প্রমাণপত্র তুলে ধরা হয় তার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিক আশীষ খেতানের একটি স্টিং অপারেশনের ফুটেজ। পাশাপাশি ঘটনার সময়ে কোডনানি, বাবু বজরঙ্গি-সহ অন্যান্যদের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়।  ওই মামলার শুনানি যখন শুরু হয় তখন বিচারক ছিলেন এস এইচ ভোরা। পরে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হয়ে যান। তার পর ওই মামলা থেকে একে এসে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জোত্স্না ইয়াগনিক, কে কে ভাট পি বি দেশাইয়ের মতো বিচারকদের। সরকারি আইনজীবী এম কে দাভে বলেন, মাত্র ৪ মাসের মধ্যে শুনানি শেষ হয়ে যায়। উল্লেখ্য, নারদা পাটিয়া হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় মায়া কোডনানিকে। তাঁকে ২৮ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে মৃত্যু হয় ৯৭ জনের। ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মায়া কোডনানি। ২০১৭ সালে মামলার শুনানির সময় অমিত শাহ প্রধান অভিযুক্ত কোডনানির পক্ষে সাক্ষ্য দেন আদালতে। কোডনানি নারোদা পাটিয়া মামলাতেও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁকে সেই মামলায় ২৮ বছরের সাজা শোনানো হলেও গুজরাট হাই কোর্ট তাঁকে মুক্তি দিয়েছে।

error: Content is protected !!