
‘জীবন দেব কিন্তু দেশকে ভাগ করতে দেব না, বাংলায় এনআরসি হতে দেব না’, ঈদের সকালে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী
প্রতি বছর তিনি ঈদের সকালে কলকাতার রেড রোডে নামাজের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেই সঙ্গে বার্তা দেন বাংলা তথা দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের। দেন ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি অশান্তি সৃষ্টিকারীদেরও একহাত নিলেন তিনি। আজ তিনি সোচ্চারে ঘোষণা করেন, জীবন দেব কিন্তু দেশ ভাগ করতে দেব না। পাশাপাশি সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জনতাকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বানও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘সবাই শান্তিতে থাকুন। প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কোনও ভাবেই তা বরদাস্ত করব না।’ কেন্দ্র দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সংবিধান ও ইতিহাস বদলে দেওয়া হচ্ছে। যা খুশি তাই করছে। এনআরসিও আনার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি তা হতে দেব না।’ পাশাপাশি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিভেদের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে সকলকে ভোট দিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে। আর এক বছর পর লোকসভা নির্বাচন। ঠিক হবে সরকারে কে থাকবে। সকলে এসে নির্বাচনে ভোট দেবেন।’ শনিবার ঈদের সকালেও তার ব্যতিক্রম হল না। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বার্তা দিলেন ‘বাংলায় এনআরসি হতে দেব না’। তিনি বাংলার অগ্নিকন্যা তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে রেড রোডে ঈদের নামাজের অনুষ্ঠানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান থেকেই সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘আপনারা সকলে শান্তিতে থাকুন। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলায় যাতে অশান্তি হয়, তার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। কোনও ভাবে বাংলায় অশান্তি বরদাস্ত করব না। দেশের সংবিধান, ইতিহাস বদলাতে চাইছে বিজেপি। বিভেদের রাজনীতি করছে। কিন্তু মনে রাখবেন ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আমাদেরকে তো এজেন্সির বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হচ্ছে। গণতন্ত্র চলে গেলে কিছুই থাকবে না। আমরা কারও কাছে মাথানত করব না। কোনও রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় পা দেবেন না। ভয় পাবেন না। আমরা আছি। আমরা একসাথে থাকব। বাংলা গড়ব। দেশ গড়ব। আপনারা শন্তি বজায় রাখুন। আমি আপনাদের বলে দিয়ে যাচ্ছি বাংলায় কোনও মূল্যেই আমি এনআরসি হতে দেব না।’