কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী বাছার সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ছাড়লেন কংগ্রেস বিধায়করা, বৃহস্পতিবারেই শপথগ্রহণ

মিলল না সমাধানসূত্র। কর্ণাটকের মসনদে কে বসবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতে ছাড়লেন সেখানকার বিধায়করা। শিবকুমার না সিদ্ধারামাইয়া, কে হবেন কর্ণাটকের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী তা ঠিক করবে দিল্লির হাইকমান্ড। ফলে কর্ণাটকে মসনদে বসার সাসপেন্স আরও বাড়। সোমবার বিকেলে কর্ণাটকের সিংহাসন নিয়ে দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার কথা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের। এদিন, শিবকুমার, সিদ্ধারামাইয়া দুই নেতার সমর্থকরা তাদের হয়ে গলা ফাটান। শহরের বিভিন্ন অংশে তাদের নিজেদের সমর্থনে পোস্টারও পড়ে। ভোটের আগে দু জনের মধ্যে যে হাসিটা ছিল, এদিন তা উধাও হয়। যদিও মুখে যতটা সম্ভব হাসি বজায় রাখার চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জেতে ১৩৬টি-তে।  বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে বসা বৈঠকে পরিষদীয় দলনেতা বাছা হল না। কর্ণাটকে কংগ্রেসের বৈঠকে শিবকুমার বা সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নেওয়া গেল না। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি থেকে পাঠানো তিন সদস্যের পর্যবক্ষেক দল। কর্ণাটকে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হিসেবে বেঙ্গালুরু যান মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে, মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা দীপক বাবারিয়া ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংকে। কর্ণাটকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে হাজির থেকে পর্যবেক্ষরা রিপোর্ট জমা দেবেন কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হবে কর্ণাটকের মসনদে কে বসবেন।কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী বৃহস্পতিবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের দিন স্থির হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা সহ জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ‘সমমনোভাবাপন্ন’ রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃত্বের কাছেও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য কংগ্রেসের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। যদিও ঠিক কোন-কোন দল বা কোন-কোন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি কংগ্রেস। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এদিন বৈঠকে বসেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী এক বা দুই দিনের মধ্যেই পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন।

error: Content is protected !!