
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মোদি ও বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
বাংলার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আক্রমণ করলেন বিজেপিকেও। বঙ্গ বিজেপির তরফে রাজ্য বিধানসভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে হানাহানির ওপর মুলতবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তাতে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জবাব দেওয়ার সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিজেপির পাশাপাশি চলে আসেন প্রধানমন্ত্রীও। এদিন মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে হানাহানির ঘটনায় তুলনা টানেন দেশের অনান্য রাজ্যের সঙ্গেও। নিশানা বানান বিজেপির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে আর সেটাও তাঁর নাম না নিয়েই। তিনি বলেন, ‘আপনারা বলেছেন, সারা ভারতে কোথাও সন্ত্রাস হয়নি। ত্রিপুরায় কী হয়েছে? উত্তরপ্রদেশ কী হচ্ছে? ১,১০০ মানুষকে এনকাউন্টার করা হয়েছে। ত্রিপুরায় ৯৭ শতাংশ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। গুজরাতে ইউএপিএ কী হয়েছে? আপনারা তো আর ৬ মাস রয়েছেন। আর কাকে কার্পেট বম্বিং করবেন? মানুষকে? মণিপুর নিয়ে অত ভয় কিসের? আপনি এদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, টাকা দিয়ে উপহার দিচ্ছেন। আর মণিপুর জ্বলছে। মিজোরাম জ্বলছে। এখানে নাকি রোজ সন্ত্রাস চলছে! হয় মাথায় কিছু হয়েছে, নয় কেন্দ্রকে খুশি করতে হবে, তাই যা খুশি একটা বলে গেলেই হয়ে গেল! বিজেপি ফেক ভিডিয়ো ফেক নিউজে বিশ্বাস করে। আমাদের পুলিশকে গুলি করল কে? এত বোমা কোথা থেকে এল? বিডিয়োকে কে মারতে গিয়েছিল?’ মমতা বলেন, ‘যেদিন থেকে এসেছে, বাংলাকে খারাপ বলে। বাংলাকে নষ্ট করার চেষ্টা। বিশ্বভারতীর উপাচার্য নাকি অমর্ত্য সেনের বাড়ি দখল করবেন! আমরা রয়েছি এখনও। কী ভাবে মানুষকে সম্মান দিতে হবে, জানি। সব কিছুতে পিএমের নাম। ওয়াশরুম থেকে শ্মশান। সব জায়গায় পিএমের নাম দিচ্ছে। যে দিন তুমি থাকবে না সব সরে যাবে। ১০০ দিনের কাজের ৭,০০০ কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপি নেতারা বলেন, আমরা বলেছি, তাই টাকা আটকে রেখেছে। আবাস যোজনা বন্ধ করে দিয়েছে। মিড ডে মিল, সড়ক নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা তোমার একার অধিকারে নেই! পিএম কেয়ারে কত টাকা জমা পড়ল, তার কী হল? ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হল। সে সব কোথায় গেল? ধর্মের ভিত্তিতে বিবাদ লাগাতে হবে! দলিতদের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়া হয়েছে। রাজবংশী ও মতুয়ার মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে হবে! মণিপুরে এমন জাতি দাঙ্গা লাগাল, যে থামছে না।’