প্রকাশ্যে এলো ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’র পোস্টার লুক

২৬ আগস্ট সেই ‘হাসির রাজা’র ১০৩ তম জন্মদিন। পরিচালক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় এদিন প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর আগামী ছবি ‘যমালয়ে জীবন্ত ভানু’র পোস্টার লুক। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে পর্দার ‘নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায়’। এই চরিত্রে দেখা যাবে দেবলীনা দত্তকে। আটপৌরে শাড়ি, ঘোমটা টানা মুখ। শাঁখা-পলা, সিঁদুরে ছয়ের দশকের রমণীর প্রতিনিধি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রশংসার বন্যায় ভেসেছেন দেবলীনা। সামাজিক পাতায় তাঁর ছবির নীচে অভিনেত্রীকে পাশ মার্ক দিয়েছেন খোদ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিচালক অনীক দত্ত, অভিনেত্রী-সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তিত্বরা। নীলিমা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠতে কী কী করলেন তিনি? জানতে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল। দেবলীনায় কথায়, ‘‘এর আগে ভারত- বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় ছবি করেছি। ফলে, বাঙাল ভাষা জানি। তবে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী যেভাবে বাঙাল ভাষা বলতেন সেটা খুঁটিয়ে শিখেছি ওঁর মেয়ে বাসবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে।’’ সে যুগের তারকার স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করতে গিয়ে তাপকা দম্পতি সম্পর্কে অনেক অজানা কথা জেনেছেন দেবলীনা। যেমন, এখনকার দম্পতিরা তথাকথিত স্বামী-স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি। তখনকার দিনে ভানু-নীলিমা তাইই ছিলেন। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘গৌতমদার থেকে শুনেছি, ওঁর মা সেই সময়ে যথেষ্ট জনপ্রিয় গায়িকা। বাবা ততটাও নাম করতে পারেননি। তাই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বশুরমশাইয়ের জামাইয়ের পেশা নিয়ে আপত্তি ছিল। এদিকে, কিংবদন্তি অভিনেতা অভিনয় ছাড়া আর কিছুই করবেন না। ফলে, লুকিয়ে স্টুডিয়োপাড়ায় গিয়ে কাজ করে আসতেন। একমাত্র তাঁর স্ত্রী বিষয়টি জানতেন। তিনিও নিজের বাবার হাত থেকে স্বামীকে সব সময় রক্ষা করতেন। পরিবার জানত, অন্য কাজে বেরিয়েছেন ভানু!’’ এছাড়া, তখনকার দিনে সংসার দাঁড় করাতে স্বামী-স্ত্রী সমান পরিশ্রম করতেন। সমান অঙ্কের টাকা দিয়ে সংসারখরচ চালাতেন। যা সে যুগে বিরল!

error: Content is protected !!