নিজের লড়াই নিজেই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা মহুয়া মৈত্রের রয়েছে: অভিষেক

বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে এলে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, এথিকস কমিটিতে বহু মামলাই পড়ে রয়েছে। এক দেড় মাস আগে যখন নয়া সংসদভাবনে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয় তখন সেই অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুড়ি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। সংসদের গরিমা নষ্ট করেছিলেন। এরকম বিজেপির বহু সাংসদ রয়েছেন যাদের বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনা হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও শুনানি হয়নি। কেউ যদি সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানিদের অনিয়ম নিয়ে জানতে চায় তাহলে কীভাবে তার সাংসদ পদ খারিজ করতে চাওয়া হয় তা এখন দেখা যাচ্ছে। এথিকস কমিটির সুপারিশের নথির যে অংশ আমার কাছে এসেছে তাতে এথিকস কমিটির চেয়ারম্যান লিখেছেন, এঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমার প্রশ্ন, যদি মহুয়ার বিরুদ্ধে কিছু না থাকে তাহলে আপনি কীভাবে সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করতে পারেন? আমার মনে হয়, নিজের লড়াই নিজেই লড়ে নেওয়ার ক্ষমতা মহুয়া মৈত্রের রয়েছে। আমাকেও গত চার বছর ধরে ডেকে পাঠানো হচ্ছে, বিভিন্ন মামলায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটা এদের কাজের পদ্ধতি। এসব প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।  

উল্লেখ্য, গতকাল ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদপদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। কমিটির মতে,’এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত ভারত সরকারের’। জমা পড়ল পাঁচশো পাতার রিপোর্ট। গত বৃহস্পতিবার ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন বিতর্কে এথিক্স কমিটির সামনের হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিন্তু মাঝ-পথেই বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ-সহ বিরোধীরা। কেন সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ? লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ,  ‘সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগ ইন করা হয়। কমিটির মতে, ‘স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা’।  কমিটির আরও সুপারিশ, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের’।

error: Content is protected !!