বিশ্বকাপের ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের আকাশে বায়ুসেনার এয়ার শো

বিশ্বকাপের ফাইনালে দুই দলের লড়াই চলছে। ভারতের হাতে কাপ উঠবে কি না, তা সময় বলবে। কিন্তু, তার আগেই দিল জিতে নিল ভারতীয় বায়ুসেনা। রবিবার অহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের মাথায় দেখা গেল চোখ ধাঁধানো এয়ার শো। মুগ্ধ গ্যালারি ভর্তি দর্শকরা। ফাইনালের শুরুতেই চমক আনল ভারতীয় বায়ুসেনার ‘সূর্যকিরণ’ টিম। রবিবার টসের পরই গুজরাটের অহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে উড়ে গেল একের পর এক বায়ুসেনার বিমান। ‘সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম’-র ন’টি হক এমকে ১৩২ এয়ারক্রাফট অবিশ্বাস্য এয়ার শো দেখাল। ভারতীয় এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যখন মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের মাথায় চলছিল এই দুর্ধর্ষ এয়ার শো। দু’দেশের জাতীয় সংগীতের পর আরও একবার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে উড়ে যায় ‘সূর্যকিরণ’ টিম।  ‘সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম’ ভারতীয় বায়ুসেনার ৫২ তম স্কোয়াড্রনের অংশ। সেই ‘সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম’-এ ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত পাইলটরা রয়েছেন। তাঁরা অ্য়ারোবেটিক্সের মাধ্যমে সকলকে চমকে দেন। এই প্রথমবার কোনও কোনও খেলাধুলোর প্রতিযোগিতায় পারফর্ম করতে দেখা গেল এই টিমকে। ১৯৯৬ সালে তৈরি এই টিম ভারতীয় বায়ুসেনার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেই পরিচিত। আকাশে ‘ভিকট্রি’ ফর্মেশন এবং বিভিন্ন ফর্মেশনের মাধ্যমে এদিন প্রদর্শনী করে ‘সূর্যকিরণ’ টিম। বছরে ৩০টির বেশি ‘এয়ার শো’-তে অংশগ্রহণ করে থাকে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘সূর্যকিরণ অ্যারোবেটিক টিম’। ফলে এই ধরণের প্রদর্শনীর মহড়া তাদের কাছে কার্যত জলভাত। প্রশিক্ষণের সময় দিনে তিনবার ওড়েন ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসাররা। ১৫০ কিলোমিটার থেকে ৬৫০ কিলোমিটার বেগে বাঁক খায় এই বিমানগুলি। তবে বিমানের গতিবেগ কত থাকবে, সেটা ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসারদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির উপর নির্ভর করে।

error: Content is protected !!