‘২৭ লক্ষ টাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মামলা লড়ছেন’, বিকাশরঞ্জনকে নিশানা কুণালের

মামলা করে আটকে দেওয়া হচ্ছে নিয়োগ। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন দ্রুত নিয়োগের দাবিতে কুণাল ঘোষের দ্বারস্থ এসএলএসটি কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষার চাকরি প্রার্থীরা। শনিবার এই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কুণাল। আর সেখান থেকে আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে নিশানা করেন কুণাল। ২৭ লাখে চাকরি প্রার্থীদের মামলা লড়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। বলেন, গরিব চাকরি প্রার্থীদের জন্য যাঁদের দরদ উথলে উঠছে, লাখ লাখ টাকা নিচ্ছেন কী করে? এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “ওঁদের হয়ে যাওয়া চাকরিটা যাঁরা আটকাচ্ছেন, একটা অংশ আইনি, আরেকটা অংশ চক্রান্তমূলক। আইনি জটটা স্কুল সার্ভিস কমিশন বা রাজ্য সরকার খুলবে। তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওঁরা যখন আইনি লড়াই লড়ছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য এবং তাঁদের জুনিয়ররা তাঁদের কাছ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা নগদে নিয়েছেন। আবার ওঁদের চাকরি আটকানোর মামলাও ওই একই গ্রুপ করছে। যাঁরা মামলা করছেন, তাঁরা কিন্তু উপযুক্ত নন। তাঁদের কাছ থেকে একইরকমভাবে মামলার ফি নেওয়া হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে। যাঁরা কর্মপ্রার্থী, তাঁদের মামলা করার সময় ২৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার বক্তব্য আছে।” তিনি এও বলেন, ‘‘রেকমেন্ডেশন পেয়ে যাওয়ার পরেও চাকরি দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, এমন এক জনের নামে মামলা করা হয়েছে যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি তো হয়ে গিয়েছে কিন্তু কাজে যোগ দিতে পারছিলেন না।’’ কুণাল আরও বলেন, ‘‘কিছু আইনজীবী চাকরিপ্রার্থীদের সর্বনাশ করেছেন। আমি ধর্না মঞ্চে গেলে ডেপুটেশন দেয়। সেই ডেপুটেশন আমি দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হোয়াস্‌অ্যাপে পাঠিয়ে দিই। আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু আইনজীবী মামলা করে নিয়োগ আটকে দিচ্ছেন। কোর্টের স্থগিতাদেশ না উঠলে নিয়োগ সম্ভব নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান, সবাই চাকরি পান।’’ এ ক্ষেত্রে কুণাল সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীদের কিছু টেকনিক্যাল কাজ আছে যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে করে ফেলতে হবে। আবারও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বসতে হবে।’’

error: Content is protected !!