বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
এবার বাংলা ভাষা নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বেশ কয়েকটি ভাষাকে ধ্রুপদী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু বাংলাকে ভাষাকে তা দেওয়া হয়নি ৷ তাই এবার তিনি বাংলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতির দাবিতে সরব হয়েছেন ৷ এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই দাবি পূরণের জন্য তিনি চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৷এ দিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি ৷ আমরা গবেষণামূলক তথ্য জোগাড় করেছি ৷ ইতিহাস, প্রাচীন লিপি ও ভাষার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা করে দেখেছি বাংলার ভাষার বিবর্তন হয়েছে গত আড়াই বছর ধরে ৷ চার খণ্ডের প্রামাণ্য গবেষণাপত্র তৈরি করেছি ৷ বাংলা অনেক আগেই ধ্রুপদী ভাষার জাতীয় স্বীকৃতি পাওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু সেখানেই বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে ৷’’তাঁর অভিযোগ, বাংলা দীর্ঘদিন ধরে অনেক ব্যাপারেই বঞ্চিত ৷ সেই তালিকাতেই বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে বলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন এ দিন ৷ বাংলা ভাষা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আড়াই হাজার বছর মানে চাট্টিখানি কথা নয় ৷’’তাই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘এটা হলে (ধ্রুপদী ভাষা) বাংলা ভাষা যেমন স্বীকৃতি পাবে ৷ অন্য রাজ্যের ভাষা স্বীকৃতি পেলে বাংলা কেন পাবে না ?’’ এই নিয়ে তিনি পূর্বতন বাম ও কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করেছেন ৷ এর আগে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস ও বাম সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি কার্যত অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বাম-কংগ্রেসের নাম না করেই তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘‘আগে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এটা নিয়ে ভাবেননি ৷ শুধু রাজনীতি নিয়ে ভেবেছেন ৷’’এছাড়া এ দিন তিনি পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়েও সরব হয়েছেন ৷ কেন্দ্রের তরফে যে যে প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে, তার সব জবাব দেওয়ার পরও কেন্দ্র বাংলা নামে সায় দিচ্ছে না বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের বাংলা নাম নিয়ে দু’বার বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে ৷ ওরা যা যা উত্তর চেয়েছে, সব দেওয়া হয়েছে ৷ তার পর বাংলা নামটা তারা দিচ্ছে না ৷ বোম্বাই থেকে মুম্বই হয়েছে, ওড়িশা থেকে ওডিশা হয়েছে ৷ আমাদের কেন হবে না ? আমাদের কী অপরাধ ? কোনও মিটিংয়ে গেলে শেষে বসে থাকতে হয় ৷ বাংলার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হয় ৷’’