গৃহবধূর শ্লীলতাহানি, স্বামীকেও মারধরের অভিযোগ, কান্দিতে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা সৌমেন দাসে
মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল কান্দি শহর বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সৌমেন দাসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কান্দি থানার পুলিশ। রবিবার তাকে কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করলে বিচারক তার ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কান্দি শহরের বাগদান এলাকার এক গৃহবধূ, বিজেপি নেতা সৌমেন দাসের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে মারধর, গালিগালাজ ও তাঁর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সৌমেনকে এবং রবিবার তাকে কান্দি মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এই প্রসঙ্গে কান্দি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস চ্যাটার্জি বলেন, ‘মহিলাদের অসম্মান করাই বিজেপির সংস্কৃতি। আরজি কর হাসপাতালে আমাদের এক ডাক্তার বোনকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনায় যুক্ত দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে আমরা যখন পথে নেমেছি তখনই কান্দি শহরে বিজেপি নেতারা এই ধরনের নোংরা কাজ করে চলেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ এই ঘটনায় যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। অভিযোগকারিণী যদি আমাদের কাছে কোনও সাহায্য চায় তাহলে আমরা জানি কীভাবে বিজেপি নেতাদের শায়েস্তা করতে হয়।’ অন্যদিকে কান্দি শহর বিজেপির সভাপতি রাজীব দাস বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সৌমেনকে ফাঁসানো হয়েছে। ও আমাদের দলের একজন সক্রিয় কর্মী। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখেছি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে মহিলা সৌমেন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী মাতাল। মদ খেয়ে বিভিন্ন ধরনের আজেবাজে কথা বলছিলেন। সেই সময় সৌমেন প্রতিবাদ করায় তাকে এই ধরনের একটি নোংরা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার কোনও ভিত্তি নেই। যদিও বিচারক সৌমেনকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আমরা আইনি পথে এগিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনতে পারব।’ এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘যদি আমাদের দলের কোনও কর্মী কোনও অপরাধমূলক কাজ করে, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেব।’