মোহনবাগানকে ৩-০ গোলে পরাজিত করল বেঙ্গালুরু

বেঙ্গালুরুর সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ মোহনবাগান। ড্র, জয়ের পরে পরাজয়ের অন্ধকারে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ৩-০ গোলে পরাজিত মোহনবাগান। মেন ইন ব্লু’র হয়ে গোল মেন্ডিজ, সুরেশ, সুনীল ছেত্রীর। গোল করে, করিয়ে চল্লিশে চালশে নয় পারফরম্যান্সে টেক্কা দিয়ে উজ্বল সুনীল ছেত্রী। জাতীয় দলের হয়ে আর না-নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘পোস্টার বয়’। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে এখনও প্রাসঙ্গিক ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। ৭৪ মিনিট মাঠে ছিলেন। মাঠ ছাড়লেন দর্শকদের স্ট্যান্ডিং ওভেশনের উষ্ণতা মেখে। আজকের জয়ে চলতি আইএসএলে জিতে হ্যাটট্রিক করল বেঙ্গালুরু এফসি। গত কয়েক বছরের মরচে সরিয়ে জেরার্ড জারাগোজার ছেলেরা ফের ঝকঝকে। ইস্টবেঙ্গল এফসিকে ঘরের মাঠে হারানোর পরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে দুমড়ে দিল তারা। আক্রমণ এবং রক্ষণের অভূতপূর্ব মিশেল বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলে দেখা গেল। প্রতিপক্ষের শানিত আক্রমণভাগকে প্রথম থেকে পাল্টা দেওয়ার ছকেই বাজিমাত বেঙ্গালুরুর । সুরেশ, নগোউরা, পেড্রো, বিনীথ প্রথম থেকেই তেল খাওয়া মেশিনের মত খেলে গেলেন। যার সামনে পেত্রাতোস, কামিংস মনবীরদের দিগভ্রষ্ট। সাহাল, আব্দুল সামাদ শুরুতেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় সমস্যা বাড়ে সবুজ-মেরুনের। বেঙ্গালুরু মাঝমাঠের মসৃণ ফুটবলের একই কথা প্রযেজ্যো রাহুল ভেকে, জোভানোভিক, রোশন সিং, নিখিল পুজারির জন্যও। নিখুঁত বুনোটে দলের রক্ষণে ফাটল ধরার জায়গা দেননি তাঁরা। তিন ম্যাচে মোট ২৭০ মিনিট অপরাজিত। ৯ মিনিটে প্রথম গোল বেঙ্গালুরু এফসির। নিখিল পুজারির হেড, দীপেন্দু বিশ্বাসের সামনে থেকে অসাধারণ তৎপরতায় জালে পাঠান মেন্ডিজ। ২০ মিনিটে ফের গোল বেঙ্গালুরুর। এবার মেন্ডিজের পাস থেকে গোল করে যান সুরেশ। প্রথম ২০ মিনিটৈ দু’গোলে পিছিয়ে পড়ার সঙ্গেই ম্যাচের ফলাফল বোঝা গিয়েছিল। প্রতিপক্ষ অস্বস্তিতে বুঝতে পেরে আরও দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে বেঙ্গালুরু। পেত্রাতোস নিজেই বলেছিলেন, পারফরম্যান্সে খুশি নন। বেঙ্গালুরু ম্যাচে তিনি আরও নিষ্প্রভ। একঘণ্টার কাছাকাছি মাঠে ছিলেন কিন্তু সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। একই কথা বলা যায় জেসন কামিংস সম্বন্ধে। দু’জনকে তুলে মোলিনা নামান ম্যাকলারেন এবং সুহেল বাটকে। তাতেও পরিস্থিতি বদল হয়নি। গোলে ফের বেশ কয়েকবার রক্ষাকর্তা হলেন বিশাল কাইথ। না-হলে আরও বড় ব্যবধানে হার অপেক্ষা করছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জন্য। বিরতির পরও একই ছবি। ৫১ মিনিটে তৃতীয় গোল তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে মেন্ডিজকে পিছন থেকে টেনে ফেলে দেন দীপেন্দু। রেফারি পেনাল্টি দিলে তা থেকে গোল করেন সুনীল ছেত্রী। এই গোলের সঙ্গে সুনীল আইএসএলে সর্বোচ্চ গোল করে ফেললেন। 

error: Content is protected !!