
আমাকে আটকানোর চেষ্টা কেন করা হচ্ছে?আপনাদের লোক-লস্কর, টাকা, এজেন্সি সব আছে, তাও আমাকে এত ভয় কেন? প্রশ্ন মমতার
২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা শেষে মঙ্গলবার রাত ৮টার পর প্রথম জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, ‘একটা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা কেন করা হচ্ছে?’ তিনি বলেন, বাংলাকে অপমানের চেষ্টা করবে দিল্লির নেতারা, এর বিচার আপনারা করবেন। আমাকে আটকানোর চেষ্টা, বাংলা দখলের চেষ্টা বিজেপির। বিজেপিই শুধু প্রচার করবে আর আমি করব না? আপনাদের লোক-লস্কর, টাকা, এজেন্সি সব আছে, তাও আমাকে এত ভয় কেন? বিজেপি হারবে, কারণ আমি একজন স্ট্রিট ফাইটার। আমার মা বোনেদের দুটি পা আমাকে ভরসা দিচ্ছে। আমার যুব সম্প্রদায়, মা-বোনেরা কেউ বিজেপিকে ভোট দেবে, আমি মনে করি না। আপনারা উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিন। আমরা বড়দিন, আম্ফান, দুর্গাপুজোয় রাস্তায় থাকি, একবছর কোথায় ছিলেন? তোমাদের অপদার্থতার জন্য করোনা বেড়েছে। গুজরাতের সুরাতে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমি ফ্রি-তে টিকা দেব বলে চিঠি লিখেছিলাম, কেন তোমরা আমায় দাওনি? কাল থেকে শহরাঞ্চলে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিনামূল্যে টিকা দেব। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে তোপ দেগে বলেন, প্রতি ভোটের দিন বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী, কোটি টাকা খরচ করে। হাজার লোক লস্কর নিয়ে কেন নির্বাচনের দিন প্রধানমন্ত্রী আসবেন? উনি মানুষের সঙ্গে প্রতারনা করছেন, উনি সুপার ভগবান। উনাকে দেখে ভাবছেন সবাই ভোট দিয়ে দেবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, সাহস আছে না দেখে বাংলা বলার? তারপর বলবে সুনার বাংলা গড়বে। একটা অপদার্থ পার্টি, আমাদের এখানের সভাই ভোটার। তিনি বলেন, সব জায়গায় এনআরসি করেছে, আমরা এখানে করতে দিই নি। সব উদ্বাস্তুদের জন্য আমরা ব্যবস্থা করে দিয়েছি । এদিন তিনি দাবি করেন, ‘কৃষকদের জমির খাজনা তুলে দিয়েছি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে প্রান্তিক চাষিরা ৩ হাজার টাকা করে পাবেন।‘ এদিন তিনি বলেন, ‘এই ভোট বাংলাকে গুজরাত হতে না দেওয়ার ভোট। এই ভোট বিজেপিকে হারানোর ভোট।‘ তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব। তোমরা আমাকে হারাতে পারবে না বিজেপি।‘ এদিন তাঁর মন্তব্যে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। সভায় উপস্থিত জমায়েতের উদ্দেশে ফুটবল ছুঁড়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তোলেন তিনি।