
আজ কুম্ভে বসন্ত পঞ্চমীর শাহি স্নান
সোমবার আরও একটি শাহিস্নান প্রয়াগরাজের পূর্ণকুম্ভে। বসন্তপঞ্চমী উপলক্ষ্যে পূণ্যস্নানের জন্য হাজির হয়েছেন লাখো পূণ্যার্থী। এই অবস্থায় অতিরিক্ত সতর্ক প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিৎসা পরিষেবায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মহাকুম্ভ নগর এবং আশপাশের চিকিৎসকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘জরুরি পরিষেবার জন্য মহাকুম্ভ নগরে ১ হাজার ২০০-র বেশি চিকিৎসককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানেই তাঁরা উপস্থিত থাকবেন। এরপর তাঁদের ছাড়া হবে।’ এদিকে, কুম্ভে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে নির্দেশিকা জারির আবেদন করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল সুপ্রিম কোর্টে। আজ সোমবার আইনজীবী বিশাল তিওয়ারির দায়ের করা সেই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে। মামলায় কেন্দ্র এবং সকল রাজ্যকে পক্ষ করা হয়েছে। কুম্ভ মেলা উপলক্ষ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে একযোগে কাজ করার আর্জি জানানো হয়েছে।
২৮ জানুয়ারি রাতের দুর্ঘটনার পরে এখনও নিখোঁজদের কোনও সন্ধান নেই। হাসপাতাল, থানা, পুলিস করে সময় কেটে যাচ্ছে আত্মীয়দের। প্রয়াগরাজের এমএলএন মেডিক্যাল কলেজের মর্গের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন জুনা আখড়ার সাধু রাজকুমার। আখড়ার সদস্য বিন্দা রাম এখনও নিখোঁজ। অনেকগুলি মর্গ ঘুরেও বিন্দার কোনও খোঁজ মেলেনি। রাজকুমার জানালেন, ঘটনার পর থেকেই নিয়ম করে দু’টি মর্গে তিনি বিন্দার খোঁজে আসছেন। তাঁর কথায়, ‘বেঁচে যদি না থাকে, তবে শেষ দেখা তো দেখতে পাব।’ উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুর থেকে এসেছিলেন ৫৫ বছরের পারুল সরকার। পদপিষ্টের সয়ম ৫০ জনের দল থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। আর তাঁর খোঁজ নেই। তাঁকে খুঁজে চলেছেন বউদি লক্ষ্মী বৈরাগী। তিনি বলেন, ‘থানা, হাসপাতাল, মর্গ সর্বত্র খোঁজ করেছি। কেউ কিছু বলতে পারছে না।’