
‘১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে’, বাণিজ্য সম্মেলনে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী
তারকাখচিত বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ। মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে সজ্জন জিন্দাল, কে নেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। বাংলার জন্য বিনিয়োগ-লগ্নি টানতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী। কারণ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে এই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাব দিলেন বিরোধীদেরও। তবে ভোলেননি শিল্পপতিদের কোন কথাটি বলতে হবে। যেটা তাঁরা চান। শিল্প করার জন্য জমি এবং পরিবেশ। সেটা যে আছে, সে কথা নিজে মুখেই শিল্পপতিদের সামনে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে শিল্পপতিদের সুবিধায় যে মুখ্যমন্ত্রী চিন্তা করেন তাও এই বাণিজ্য সম্মেলন থেকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেমের থেকে একধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা আপনাদেরই গৃহ। এখানে আসুন, বিনিয়োগ করুন। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যস্তরে শিল্প সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। আর সেই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যসচিব। এখনও পর্যন্ত বাণিজ্য সম্মেলন থেকে ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। সেই বিনিয়োগের অর্থে কিছু কাজ এগিয়েছে। বাকিটা বাস্তবায়ণের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।’ অন্যদিকে এই শিল্প সম্মেলনের তাৎপর্য বোঝান মুখ্যমন্ত্রী। নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চান কর্মসংস্থান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্মেলন জরুরি। আর দমকল, পরিবেশ, ভূমি রাজস্ব, অর্থ, আবাসন, শিল্প সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই কমিটি গড়ে উঠবে। যারা দেখবে যে বিনিয়োগের জন্য ছাড়পত্র দিতে যেন সময় না লাগে। প্রতি ১৪ দিনে একবার করে এই কমিটি বৈঠক করবে। কোথাও কোনও বাধা থাকলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। এই সম্মেলন রাজ্যের ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।’ এছাড়া বাংলায় শিল্পবান্ধব পরিবেশ, দক্ষ শ্রমিক রয়েছে বলে হোটেল ব্যবসায় ১২০০ কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা করলেন অম্বুজা–নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া। এখানে তৈরি হবে নেওটিয়া গ্রুপের আরও পাঁচ হাসপাতাল। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলেন, ‘বড় কথা হল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সব সমস্যার কথা বলা যায়। অপেক্ষা করতে হয় না।’ আর বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে বড় ঘোষণা করলেন আইটিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব পুরী। বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রগেসিভ পলিসি’তে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে রাজ্যে।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমি সাধারণ মানুষের কাছে দায়বদ্ধ, বিরোধীদের কাছে নয়। বাংলা ব্যবসার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার। রাজ্যের জিএসডিপি ৩.৯৩ গুণ বেড়েছে। মূলধন খাতে খরচ ১৩.৮৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প স্থাপনের জন্য ৫,০০০ একর জমি রয়েছে। ২০০টা শিল্পতালুক রয়েছে। তাই বাংলায় আসুন, বাংলায় বিনিয়োগ করুন। বাংলা আপনাকে খালি হাতে ফেরাবে না।’