
26/11 হামলার মুলচক্রীকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের
হোয়াইট হাউসে মোদি-ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে 26/11 হামলার মুলচক্রী তথা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তাহাউর রানাকে ভারতে পাঠানোর কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ দীর্ঘদিন ধরেই 26/11 হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে হাতে পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল ভারত। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টই ছিল তাহাউর রানার প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে শেষ ভরসা ৷ কিন্তু, গত 25 জানুয়ারি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, 26/11 হামলার মুলচক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভারতের দাবি ছিল, এই দেশের বিচারব্যবস্থায় তাহাউর রানার বিচার হওয়া উচিত। আর সেমতো অর্থাৎ ভারতের দাবি মেনেই তাহাউরের প্রত্যর্পণের সায় দেয় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট ৷ আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তাহাউরকে ভারতে পাঠানো হবে ৷ এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদিক সম্মেলনে এমনটা ঘোষণা করেন ট্রাম্প ৷ তিনি বলেন, “আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, আমার প্রশাসন 2008 সালের মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী এবং বিশ্বের অন্যতম ‘খারাপ’ ব্যক্তিকে (তাহাউর রানা) ভারতে বিচারের জন্য প্রত্যর্পণের অনুমোদন দিয়েছে। বিচারের জন্য তাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৷” মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, “26/11 মুম্বই হামলার ঘটনার দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের প্রচেষ্টাকে আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে আসছে।” এদিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এবং মার্কিন আইনের অনুয়ারে বিদেশ দফতর বর্তমানে এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নিচ্ছে ৷ মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রত্যর্পণের বিষয়টি দ্রুত নিশ্চিত করার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদও জানান তিনি। উল্লেখ্য, 2008 সালে মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে 6 জন মার্কিন নাগরিক-সহ মোট 166 জনের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় মুল অভিযুক্ত হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক রানার নাম উঠে আসে। হামলার ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হয়েছে রানা ৷ তাই তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে আটকে রাখা হয়েছে ৷ এবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মতির পরে, এই জটিল আইনি লড়াই শেষ হতে চলেছে ।