
ট্যাংরা-কাণ্ডে স্ত্রী, বউদি ও মেয়েকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার প্রসূন দে
ট্যাংরা-কাণ্ডে গ্রেফতার প্রসূন দে ৷ তাঁকে সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ৷ তার পরই তাঁকে কলকাতা পুলিশ ট্যাংরা থানায় নিয়ে চলে যায় ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার জানান, তিনজনকে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হল ৷ তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হবে ৷ পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকায় বসবাস চামড়ার ব্যবসায়ী দে পরিবারের ৷ সেখানকার অতুল শূর রোডের একটি বাড়িতে দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন থাকতেন ৷ গত 19 ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে ইএম বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ি থেকে প্রণয়, প্রসূন ও প্রণয়ের ছেলেকে উদ্ধার করা হয় ৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পরে সেখান থেকে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূন ও প্রণয়ের ছেলেকে নিয়ে আসা হয় ৷ প্রণয় এখনও সেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ সুস্থ হয়ে যাওয়ায় সোমবার প্রসূনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় ৷ তার পরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্যাংরা থানায় ৷ কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, প্রসূন দে-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা আমাদের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । আমরা তাঁর সুস্থতার অপেক্ষায় ছিলাম । হাসপাতাল থেকে তাঁর ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার পরেই তাঁকে থানায় এনে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হ য়৷ বয়ানে অসঙ্গিত মিলতেই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ উল্লেখ্য, 19 ফেব্রুয়ারির সকালেই ট্যাংরার বাড়ি থেকে প্রণয় ও প্রসূনের স্ত্রীদের এবং প্রসূনের মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রণয় ও প্রসূন প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানান যে তাঁদের ব্যবসায় মন্দা চলছিল ৷ এই কারণে তাঁরা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন ৷ তার জেরেই স্বপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন ৷ সেই মতো পদক্ষেপ করা হয় ৷ কিন্তু পরিবারের তিন মহিলা সদস্য মারা গেলেও তিনি পুরুষ সদস্য বেঁচে যান ৷ বেঁচে যাওয়া সেই পুরুষ সদস্যদের একজন প্রণয়ের নাবালক ছেলে ৷ তার বয়ান ইতিমধ্যে রেকর্ড করেছে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ সেই বয়ান অনুযায়ী, প্রসূন দে-ই পরিবারের তিন মহিলা সদস্যকে খুন করেন ৷ এমনকী ওই নাবালককেও খুনের চেষ্টা হয় ৷ কিন্তু সে বেঁচে যায় ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, প্রসূনের বয়ানের সঙ্গে ওই কিশোরের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে ৷ কিশোর যেভাবে ঘটনার বয়ান দিয়েছে, সেই একই কথা প্রসূন বলছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷