
আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে জানাল হাইকোর্ট
আদালতের নির্দেশ ছাড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আপাতত কর্মসূচি করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক সংগঠন । শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তবে যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির একটা ছাত্র সংগঠনকে শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়েছেন তিনি ৷ রবিবার সকালে সেই মিছিল হবে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, নবীনা সিনেমা হল থেকে শুরু করে যাদবপুর থানা থেকে ১০০ মিটার দূরে ক্যালকাটা পাইড রেস্টুরেন্টের কাছে শেষ করতে হবে মিছিল । সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে মিছিলে অংশ নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৭৫০ জন ছাত্রছাত্রী। যাদবপুর চত্বর থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকতে হবে তাঁদের । এই বিষয়ে বিচারপতির মন্তব্য, “যতদিন আমি মামলার পরবর্তী শুনানি করছি অর্থাৎ ১৩ মার্চ পর্যন্ত কাউকে ওই এলাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হবে না । আদালতের অনুমতি ছাড়া ওখানে কেউ কর্মসূচি করতে পারবে না। আগামী রবিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টে পর্যন্ত অবশ্য মিছিল হবে। সংশ্লিষ্ট থানা আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবে। আয়োজকদেরও নজর রাখতে হবে । তবে কোনওভাবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যাওয়া চলবে না।” বিজেপির আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায় এদিন আদালতে বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মিছিলে থাকবেন ৷ রবিবার সুলেখা মোড় থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিল করতে চাই আমরা। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত সময় চাই ।” এই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩ মার্চ ৭টার সময় মিছিলের আবেদন জানানো হয়েছে । আমরা ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের থেকে তথ্য পেয়েছি । মিছিলকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। মিছিলের কাছাকাছি বিরোধী পক্ষ থাকলে কে সামলাবে ? অন্য জায়গায় মিছিল হোক ।” বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “আপনারা বলছেন বিরোধী দলনেতা থাকবেন আবার নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখতে হবে ! কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পার্লামেন্টের সদস্য থাকবে কিনা আপনি জানাননি । কোনও ভিআইপিকে অনুমতি দেওয়া হবে না ।” বিজেপির তরফের আইনজীবী ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের কথায়,”গতকালকেই শাসকদল মিছিল করেছে । তার আগে ডিওয়াইএফআই মিছিল করেছে ।” এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির বক্তব্য, “কেউ যদি অন্যায় করে আপনারাও তাই করবেন এটা মানা যায় না । আপনারা যাদবপুরেই কেন করছেন ? আমি বলছি না, আপনারা করবেন না । আমি রাজ্যেকে বলছি আপনাদের অফিসারদের বলুন কাউকে যাতে অনুমতি না দেয় ১৩ মার্চ পর্যন্ত ।”