নতুন করে ফের উত্তপ্ত নাগপুর, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, আহত ২০, আটক ৫০

সোমবার রাতে নতুন করে উত্তপ্ত হয় নাগপুর। সেখানে একাধিক এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়। পুলিশের ১৫ জন সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এদিকেনাগপুরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এরই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেএকটি গুজবের জেরে সেখানে এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কোনও রকম গুজবে বিশ্বাস না করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। কী কারণে এই ঘটনা ঘটে তা তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠন। এরই মধ্যে নাগপুরে একটি গুজবের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মহাল, কোতোয়ালি, চিতনিস পার্ক, গণেশপেঠ এবং শুক্রওয়ারি তালাও-সহ বেশ কিছু এলাকায় সংঘর্ষর জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে তা আরও অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। পাল্টা তাদের উপর পাথর ছোড়া হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাগপুরের পুলিশ কমিশনার রবীন্দর কুমার সিংহল। এই ঘটনার সঙ্গে বহিরাগত কেউ যুক্ত ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্য দিকেএই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিএসপি দলের নেত্রী মায়াবতী। এই ঘটনার জন্য সেই রাজ্যের সরকারকে দায়ী করেছেন আদিত্য ঠাকরে। তবে পুরো ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন এআইমিম দলের নেতা ওয়ারিশ পাঠান।

error: Content is protected !!