আমি বেঁচে থাকতে কোনও যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছিঃ মুখ্যমন্ত্রীর

যাঁরা চাকরি কেড়ে নেয় তাদের আমি ধিক্কার জানাই। যোগ্য প্রার্থীদের কারুর চাকরি যেতে দেব না। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিতে পারিনি। সিবিআই যোগ্য-অযোগ্য বাছতেই পারেনি। আজ চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়ে নেতাজি ইন্ডোর থেকে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি রক্ষা করতে হবে। যারা অযোগ্য তাদের নিয়ে আলাদা বৈঠক। যাত্রাপালার মাধ্যমে ভুল বোঝানো হচ্ছে। জেনেশুনে কারুর চাকরি খাইনি, কাজ করতে গেলে একটা দুটো ভুল হয়। আমাদের হৃদয় পাথর নয়। সবার অস্মিতা ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আছে, সেই কথা অস্বীকার করতে পারি না। আমাকে জেলে ভরে দিলেও আই ডোন্ট কেয়ার। বিকাশ ভট্টাচার্যকে আইসোলেট করা উচিত। যারা যোগ্য তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত চলছে। ২০২২ থেকে নোংরা খেলা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায়, এই রায়ের পেছনে কারা আছে ?মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, স্কুলগুলি এবার কে চালাবে? এবার শিক্ষক- শিক্ষিকারা কী করবেন। শিক্ষকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, আপনারা স্কুলে যান ও পড়ান। যারা চাকুরিরত তাদের ছাড়া স্কুল কিভাবে চলবে? কোর্টের কাছে জানতে চাইব। নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত স্কুলে যাক। সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দিক। এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের চাকরি কেউ বাতিল করেনি। আপনাদের চাকরি ফিরয়ে দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। আইনি পথেই এগোবে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই পুরোটা করব। আপনাদের তো কেউ বরখাস্ত করেনি এখনও পর্যন্ত। কোনও নোটিশ পেয়েছেন। আপনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি না প্রমাণ করতে পারলে কেউ আপনাকে তাড়াতে পারে না। আপনারা স্কুলে যান, ক্লাস করান।’ দু মাসের মধ্যেই যোগ্যদের চাকরি। সিপিএম-কে আক্রমণ করে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ‘বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কেন মামলা করলেন? আমি অনেক বিষয় জেনেও সিপিএম-এর কারও চাকরি কেড়ে নিইনি। আমি বেঁচে থাকতে কোনও যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমি জীবনে জেনে শুনে কারও চাকরি খাইনি। তাই অনেক বদহজম হওয়া সত্ত্বেও সিপিএম-এর কারও চাকরি খাইনি।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘চাকরিহারা যোগ্যদের জন্য আইনি লড়াই লড়বেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল, প্রশান্ত ভূষণ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাকেশ দ্বিবেদীরা।’

error: Content is protected !!