
ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, একাধিক গাড়িতে আগুন
মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ-অশান্তি ৷ ওয়াকফ সংশোধনী প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার রণক্ষেত্র রঘুনাথগঞ্জের উমরপুর। দুপুর থেকে শুরু হওয়া অশান্তির রেশ বজায় রইল রাতেও ৷ দুপুরের পর রাতেও উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ ৷ অশান্তির ঘটনায় 6 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ দুপুর থেকেই 12 নম্বর জাতীয় সড়কে শুরু হয় বিক্ষোভ ৷ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে জনতার খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ৷ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাস সেলও ৷ পাল্টা একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে অবিরাম ইটি বৃষ্টি ৷ তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বিরাট বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অশান্তির জেরে যানজটে স্তব্ধ জাতীয় সড়ক ৷ সন্ধ্যার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছিল পুলিশ। এমনকী জাতীয় সড়কের অবরোধও তুলে দেয় । তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ৷ অশান্তির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশি তৎপরতা শুরু হতেই ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জঙ্গিপুর। আবারও উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয় পুলিশকে। এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দমোহন রায় বলেন, “পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করা হয়েছে ৷” এদিকে, ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “বিশৃঙ্খলতা নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া দরকার ৷ মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক এবং মুখ্যসচিবকে আমরা অনুরোধ, আপনারা রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাহায্য নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুন ৷”