
‘সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন, এই আইন আমাদের রাজ্যে লাগু হবে না’, ওয়াকফ নিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও এই বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতি দিয়ে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন। আজ এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “সব ধর্মের সকল মানুষের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনো অ-ধার্মিক আচরণ করবেন না। প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান, রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। দাঙ্গা যারা করছেন, তারা সমাজের ক্ষতি করছেন।” তিনি স্পষ্টভাবে জানান, এই আইন রাজ্য সরকার করেনি, এটি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের তৈরি আইন। তাঁর কথায়, “মনে রাখবেন, যে আইনের বিরুদ্ধে অনেকে উত্তেজিত, সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে। আমরা এই আইনকে সমর্থন করিনা এবং এটি আমাদের রাজ্যে লাগু হবে না। তাহলে দাঙ্গা কিসের?” মুখ্যমন্ত্রী আরও হুঁশিয়ারি দেন, “দাঙ্গায় যারা উস্কানি দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো হিংসাত্মক কার্যকলাপকে আমরা প্রশ্রয় দিই না।”তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা, সভ্যতা ও সম্প্রীতি। সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখুন-এই আমার আবেদন।”
মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, “কোনও গুজবে কান দেবেন না ৷ গুজব ছড়াবেন না ৷ কোনও রকম গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না ৷ কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না ৷ যারা গুন্ডামি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ আমরা মানুষের সহযোগিতা চাই ৷ মানুষের জীবন রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব ৷ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না ৷” এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, “পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে ৷ পাল্টা পুলিশও চার রাউন্ড গুলি চালায় ৷ পুলিশের ছোড়া গুলিতে দুজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ জখম দু’জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তবে তারা এখন বিপদমুক্ত ৷ ধুলিয়ানের পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে ৷ এই অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 15 জন পুলিশ জখম হয়েছে, 118 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷”