
কালীঘাটের স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
নববর্ষের ঠিক আগের দিন সন্ধ্যে ৭টায় উদ্বোধন হয়ে গেল কালীঘাটের সাড়ে চারশো মিটার দীর্ঘ স্কাইওয়াক। উদ্বোধন করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন নববর্ষের আগেই উদ্বোধন হতে চলেছে কালীঘাট স্কাইওয়াক। আর সেই কথা অনুযায়ী, সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনামায় উদ্ধোধন হল কালীঘাট স্কাইওয়ে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মালা রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, শিল্পপতি সৃঞ্জয় বোস, নির্মল ঘোষ, দেবাশিস কুমার, হর্ষ নেওটিয়া, সঞ্জয় বুধিয়া, মেহুল মহান্ঙ্কা জিৎ গাঙ্গুলি, অদিতি মুন্সি, জুন মালিয়া-সহ অন্যান্যরা। কালীঘাট স্কাইওয়ে উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো দেন কালীঘাটের মন্দিরে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণি স্কাইওয়াক তৈরি করেছিলেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাটেও তৈরি হবে স্কাইওয়াক।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নতুন স্কাইওয়াক তৈরির কারণে অনেক হকারদের কাজ চলে যেতে পারত। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। একবছরের জন্য হাজরা পার্কে হকার্স কর্নার বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁরা নবনির্মিত হকার্স রিফিউজি কর্নারে আবার নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বক্তব্য রাখার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ রিমোটের সাহায্যে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মমতা। প্রথমে, নবরূপে সুসজ্জিত কালীঘাট মন্দির এবং মন্দির প্রাঙ্গনের উদ্বোধন করলেন। এরপর নবনির্মিত স্কাইওয়াক এবং সব শেষে হকার্সদের জন্য তৈরি রিফিউজি হকার্স কর্নারের উদ্বোধন করেন। এর পর ফিতে কেটে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করে উঠে গোটা পথ ঘুরে দেখেন। এরপর পুজো দেন কালীঘাট মন্দিরে। নির্মাণকাজে নানা বিলম্বের কারণে বারবার পিছিয়েছে কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধনের দিন। অবশেষে স্থির হয়েছিল ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শুরু আগের দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির দিন স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করা হবে। অবশেষে সেটির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী।