
সুপ্রিমকোর্টে স্বস্তি রাজ্যের, ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
সুপ্রিমকোর্টে সাময়িক স্বস্তি রাজ্যের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার জন্য আপাতত ‘টেন্টেড’ (অযোগ্য) তালিকায় নাম না-থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে পড়াতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর (এঁদের মধ্যে ১৭ হাজার ২০৬ জনই শিক্ষক-শিক্ষিকা) নিয়োগ বাতিলের জেরে আদালতে মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ দিন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, শুধুমাত্র ‘যোগ্য’ শিক্ষকরাই আপাতত কাজ চালাতে পারবেন। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আদালতের এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, যাঁরা ‘যোগ্য’ শিক্ষক বা ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত নন তাঁরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন। কেউ কোনও বিশেষ সুবিধা পাবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের জন্য বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শর্ত হলো, ৩১ মে-র মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে রাজ্যকে। ফলে চাকরিহারা যোগ্যদের পুরোপুরি স্বস্তি ফেরার জায়গা নেই বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। তবে যতদিন তাঁরা ক্লাস করাবেন, সেই সময়ের বেতন পেতে তাঁদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে ‘যোগ্য’ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা স্কুলে ফিরতে পারবেন না। এ দিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিবাল জানান, ৩১ মে-র মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং নতুন নিয়োগ শেষ করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। উল্লেখ্য, এসএসসি-র প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন পরিবর্তন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ।