
মুর্শিদাবাদে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, ত্রিপুরা কেন যাচ্ছেন না প্রশ্ন মমতার
বিজেপি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজভবনে আসা সমশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের ঘরছাড়াদের একাংশের সঙ্গে দেখা করে মুর্শিদাবাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে কথা জানার পরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের উদ্দেশে ‘অনুরোধ’ রাখেন কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে যাওয়ার। যদিও বোস সেই আবেদনে সাড়া দেননি। আজ, শুক্রবারই তাঁর ওই জেলায় যাওয়ার কথা। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তিনি নিজে এখনও যাননি। কারণ ব্যাখ্যায় তাঁর মন্তব্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। এখন গেলে সমস্যা হতে পারে। সেই সঙ্গেই অবশ্য মমতার কটাক্ষ, ‘ত্রিপুরায় গোলমাল হচ্ছে, রাজ্যপাল সেখানেও যেতে পারেন।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অশান্ত মণিপুরে যান, এমন দাবিও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের ঘরাছাড়াদের নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারই প্রথম জানান, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানে যাবেন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে যান।’ কেন অপেক্ষার কথা বলছেন, তার ব্যাখ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রিকোয়েস্ট করব, বাইরে থেকে এখন কেউ যাবেন না। আমিও তো যেতে পারতাম, যাইনি। আমি গেলে অন্যরাও যেতে চাইবেন। আমাদের (রাজ্য) মহিলা কমিশনের টিমও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছি, এখনই যাওয়ার দরকার নেই।’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘ওখানে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে। এখন কাজ কনফিডেন্স বিল্ডিং। আস্থা ফেরানোর সেই কাজ চলছে।’ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি মুর্শিদাবাদে যাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘ঠিক সময়ে যাব।’ এর পরেই সুর কিছুটা চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘তিনি (রাজ্যপাল) শুধু এখানে কেন যাচ্ছেন? ত্রিপুরাতেও তো গোলমাল-অশান্তি চলছে। ওখানে তো আমরা ক্ষমতায় নেই। তিনি ওখানে কেন যাচ্ছেন না? মণিপুর তো অনেক দিন ধরেই অশান্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে কেন যাচ্ছেন না?’ তাঁর অভিযোগ, ‘সবাই বাংলাকে টার্গেট করেছে। মুর্শিদাবাদে কারা গোলমাল পাকাচ্ছে, তা তো বলেছি। পিছনে কে আছে, তা তো গতকাল (বুধবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায়) বলেই দিয়েছি।’