দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে গুজরাত

দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০৩/৮ (অক্ষর ৩৯, প্রসিদ্ধ ৪১/৪),
গুজরা টাইটান্স: ২০৪/৩ (বাটলার ৯৭*, কুলদীপ ৩০/১),
৭ উইকেটে জয়ী গুজরাত টাইটান্স।

ব্যাটে ভর করে দিল্লির ২০৪ রানের লক্ষ্য অনায়াসে পেরিয়ে গেল গুজরাত টাইটান্স। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষেও উঠে এলেন শুভমান গিলরা। এদিন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাত অধিনায়ক। এই ম্যাচে সুযোগ পাননি জ্যাক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক। দিল্লির ইনিংসের শুরুটা খারাপ করেননি অভিষেক পোড়েল ও করুণ নায়ার। কিন্তু এবারও ভালো শুরু করেও বড় রান পেলেন না বাংলার অভিষেক। আর সেই সঙ্গে শুরু হল প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর আগুনে বোলিং। দিল্লির টপ অর্ডারকে যেন আক্ষরিক অর্থেই ছারখার করে দিলেন প্রসিদ্ধ। করুণ নায়ার আউট হলেন ৩১ রানে। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কেএল রাহুল ও অক্ষর প্যাটেলকে ফেরালেন প্রসিদ্ধা। পরে নিলেন ভিপরাজ নিগমের উইকেট। তবে শেষের দিকে আশুতোষ শর্মার ঝড়ে ২০৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রান তাড়া করতে নেমে গুজরাত দ্রুত শুভমান গিলের উইকেট হারায়। তারপরই ব্যাট হাতে আগুন ছোটাতে শুরু করেন জস বাটলার। সাই সুদর্শন ৩৬ রানে আউট হলেও ইংরেজ ব্যাটারের দাপট কমেনি। চার-ছক্কায় দিল্লির বোলিংয়ে নাস্তানাবুদ করে দেন তিনি। যেভাবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ পালটা দিয়েছিলেন, সেই কাজটা দিল্লির হয়ে করতে ব্যর্থ মুকেশ কুমাররা। আগের ম্যাচের নায়ক মিচেল স্টার্ক ৩.২ ওভারে দিলেন ৪৯ রান। রাদারফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান বাটলার। রাদারফোর্ড আউট হয়ে গেলেও বাকি কাজ শেষ করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। অন্যদিকে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না বাটলার। অপরাজিত থাকেন ৫৪ বলে ৯৭ রান করে। মারেন ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল গুজরাত। 

error: Content is protected !!