গুজরাতের কাছে ঘরের মাঠেই ৩৯ রানে হারলো কেকেআর

গুজরাত টাইটান্স: ১৯৮/৩ (শুভমান-৯০, সুদর্শন-৫২, বাটলার-৪১*)
কেকেআর: ১৫৯/৮ (রাহানে-৫০, অঙ্কৃষ-২৭*)
৩৯ রানে জয়ী গুজরাত টাইটান্স

হতাশাজনক বোলিং, তেমনই খারাপ ব্য়াটিং। গুজরাতের কাছে ঘরের মাঠেই ৩৯ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত হল কেকেআর। টসে জিতে এদিন প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নাইট অধিনায়ক রাহানে জানান, প্রথম একাদশে জোড়া বদলের কথা। ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারায় সাত ম্যাচ পর কুইন্টন ডি’কককে বসিয়ে দলে নেওয়া হয় গুরবাজকে। কিন্তু চলতি আইপিএলে প্রথমবার নেমে গিলের দলের পেসের সামনে টিকতেই পারলেন না তিনি। ফিরলেন মাত্র ১ রান করে। আনরিখ নখিয়ার পরিবর্তে খেলেন মইন আলি। ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে তাঁর ঝুলিও শূন্য। বরং এদিন ইডেন দর্শকদের মন জয় করলেন প্রাক্তন নাইট শুভমান গিল। অধিনায়কের ৫৫ বলে ৯০ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস বহুদিন মনে রাখবে ক্রিকেটের নন্দনকানন। তবে শুধু ব্যাট হাতেই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও মাস্টারস্ট্রোক গিলের। খেলার ছন্দ ধরে রাখতে স্ট্যাটেজিক টাইম আউট না নিয়ে বল করিয়ে গেলেন তিনি। সেই সঙ্গে সঠিক সময়ে রশিদ খানের হাতে বল তুলে দিয়ে কেকেআরকে কার্যত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য় করলেন। অধিনায়কের মর্যাদা রেখে ফর্মে ফিরে জ্বলে উঠলেন আফগান স্পিনারও। তুলে নেন জোড়া উইকেট।  সবমিলিয়ে এক নম্বর দলের মতোই পারফর্ম করল গুজরাট। কেকেআর সমর্থকদের শব্দব্রহ্ম যেন কাজেই এল না। উলটে রাহানের সেই গতে বাঁধা স্ট্র্যাটেজি দেখে রীতিমতো বিরক্তই হলেন সমর্থকরা। ১৬তম ওভারে বরুণের স্পেল শেষ। ডেথ ওভারে হর্ষিত ও বৈভবের উপর ভরসা। পরিস্থিতি অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজি বদলের ধারকাছ দিয়ে গেলেন না রাহানে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই কেকেআরের ফিল্ডিং। ম্যাচ শেষে রাহানে মেনেও নিলেন, অন্তত ১০/১৫ রান বাঁচানো যেত।  এখানেই শেষ নয়, আন্দ্রে রাসেল কি শেষ? এ ম্যাচেই প্রশ্নটা আরও প্রকট হল। কারণ ১২ ওভারের আগে রাসেলের হাতে বল দিলেন না নাইট অধিনায়ক। আবার ফাইভ ডাউনে নেমে ২১ রানে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। 

error: Content is protected !!