
লখনউকে ৮ উইকেটে হেলায় হারালো দিল্লি
লখনউকে ৮ উইকেটে হেলায় হারালো দিল্লি। টসে জিতে লখনউ দলকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল। এইডেন মার্করাম, মিচেল মার্শ লখনউ দলের হয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল। ওপেনিং জুটি ৮৭ রান তোলে। লখনউ দলের ওপেনিং প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভালো হচ্ছে। এই ম্যাচেও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। ৮৭ রান স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলেন লখনউ দলের দুই ওপেনার। দুষ্মন্ত চামিরার বলে ৩৩ বলে ৫২ রান করে আউট হলেন মার্করাম, দুটি চার এবং তিনটি ছক্কা মারেন। মিচলে মার্শ ৩৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হলেন। তিনটি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। মনে হচ্ছিল বড় রানের দিকে এগোচ্ছে লখনউই। কিন্তু দুই ওপেনারের পতন ঘটতেই লখনউ দলের ছন্দ পতন হল। মিডল অর্ডার এই ম্যাচে পুরোপুরি ফ্লপ হল। লখনউ দলের মিডল অর্ডারে মূল ভরসা নিকোলাস পুরাণ।। কিন্তু তিনি ৯ রান করেই স্টার্কের বলে আউট হলেন। আবাদুল সামাদ ২ রান করে মুকেশ কুমারের বলে আউট হলেন। শেষ দিকে ডেভিড মিলার এবং পরিবর্ত হিসাবে নামা আয়ূষ বাদোনি কিছুটা মানরক্ষা করলেন। মিলার ১৪ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন। ২১ বলে ৩৬ রান করে আউ হলেন। পন্থ শেষ দিকে নেমে এই ম্যাচে পুরো ব্যর্থ হলেন। ২ বলে ০ রান করে আউট হলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তুলল লখনউ দল। দিল্লি দলের বোলিংয়ে নায়ক মুকেশ কুমার। ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিলেন। মিচেল স্টার্ক ও দুষ্মন্ত চামিরা একটি করে উইকেট পেলেন। দিল্লির হয়ে অভিষেক পোড়েল, করুণ নায়ার ওপেন করে নামেন। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লি দলের। ৩৬ রানেই ওপেনিং জুটির পতন ঘটে। ৯ বলে ১৫ রান করে আউট বলেন নায়ার। তবে চন্দননগরের বঙ্গ সন্তান অভিষেক পোড়েল রাহুলের সঙ্গে জুটি বেধে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এই ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন অভিষেক পোড়েল। ৩৬ বলে ৫১ রান করে আউট হলেন অভিষেক পোড়েল। তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার এবং একটি ছক্কা। এরপর দিল্লির ইনিংসের হাল ধরেন কেএল রাহুল এবং অক্ষর প্যাটেল। পুরানো দলের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন রাহুল। শেষ ম্যাচে গুজরাতের বিরুদ্ধে রান পাননি। কিন্তু লখনউয়ের বিরুদ্ধে আবার চেনা ছন্দে পাওয়া গেল রাহুলকে। ৪০ বলে অর্ধশতরান পূরণ করলেন। রাহুল ৩৪ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকলেন, অক্ষর ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচে একাধিক ক্যাচও ফস্কালেন লখনউ দলের ক্রিকেটাররা। ফলে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি।