
৭ উইকেটে জয়ী মুম্বই
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৪৩/৮ (ক্লাসেন ৭১, অভিনব ৪৩, বোল্ট ৪/২৬)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৪৬/৩ (রোহিত ৭০, সূর্যকুমার ৪০)
সাত উইকেটে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
আইপিলের শুরুর দিকে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে শেষে ধুঁকতে থাকা দল এখন প্লে-অফের দৌড়ে। টানা চার ম্যাচ জিতে হার্দিক পাণ্ডিয়াদের ট্রফি জয়ের স্বপ্ন আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, দাপুটে ব্যাটিংয়ে বড় রান তোলার জাদুকাঠি হারিয়ে ফেলে সূর্যাস্ত নেমে এসেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শিবিরে। আইপিএলের শুরুতে মুম্বই শিবিরের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম ছিল রোহিত শর্মা। প্রাক্তন অধিনায়কের রান খরায় বিপাকে পড়ত গোটা টিম। কিন্তু কথায় আছে, ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’। বহু ব্যবহারে ক্লিশে হয়ে গেলেও এই বাক্যকে বারবার ঠিক প্রমাণ করেন হিটম্যান। গত ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৭৬ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। এদিনও দারুণ সব শটের প্রদর্শনী হল হিটম্যানের ব্যাটে। ভিন্টেজ রোহিতের ঝলক দেখল হায়দরাবাদ। ৭০ রানে তিনি যখন আউট হলে, ততক্ষণে ম্যাচ এসে গিয়েছে হাতের মুঠোয়। প্রাক্তন অধিনায়কের দুরন্ত ইনিংসে ভর করেই হাসতে হাসতে জিতল মুম্বই। এদিন অবশ্য মুম্বইয়ের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক হার্দিক। দ্বিতীয় ওভারে ট্র্যাভিস হেডকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। তৃতীয় ওভারে আউট ঈশান কিষান, চতুর্থ ওভারে অভিষেক শর্মা, পঞ্চম ওভারে নীতীশ রেড্ডি- পরপর উইকেট খুইয়ে হায়দরাবাদ ওখানেই ম্যাচ হেরে যায়। তবে সেখান থেকে দাঁতে দাঁত চেপে মরিয়া লড়াই হেনরিখ ক্লাসেনের। ৪৪ বলে ৭১ রান করেন প্রোটিয়া তারকা। ৪৩ রান আসে অভিনব মনোহরের ব্যাট থেকেও। এই দুই ব্যাটারের দাপটে কোনওমতে ১৪৩ পর্যন্ত পৌঁছয় প্যাট কামিন্সের দল। এদিন মাত্র ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন বোল্ট। জোড়া উইকেট দীপক চাহারের। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে অবশ্য প্রথমেই রায়ান রিকলটনের উইকেট হারায় মুম্বইয়ে। তারপর থেকে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম জুড়ে কেবল হিটম্যান আর তাঁর ছবির মতো সুন্দর শট। তিনটি ছক্কা হাঁকালেন, ৮টি বাউন্ডারি এল তাঁর ব্যাট থেকে। ১৯ বলে ৪০ রান করলেন সূর্যকুমার যাদবও। ২৬ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল মুম্বই।