
মেছুয়া বাজারের হোটেল অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪
মেছুয়া বাজারের হোটেল অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৪ । গভীর রাতে আগুন নেভার পর হোটেল ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বোর্ডারের প্রত্যেককেই মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কার্যত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ১৩ জনের। আগুন থেকে বাঁচতে, কার্নিশ বেয়ে নামতে গিয়ে মঙ্গলবার সন্ধেতেই মৃত্যু হয় এক হোটেল কর্মীর। মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ভয়াবহ আগুন লাগে বড়বাজারের মেছুয়া বাজার ফলপট্টির হোটেলে। দমকলের ১১ ইঞ্জিনের সহায়তায় নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও, পুরোপুরি সমস্যা মেটাতে রাত তিনটে অবধি চলে যুদ্ধ। ধোঁয়ায় জেরে গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছিল হোটেলটি বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। হোটেলের জানলার কাচ ভেঙে ধোঁয়া বের করে ভিতরে ঢুকতে সক্ষম হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাত তিনটের পর হোটেলের ভিতরে আটকে থাকা সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন হতভাগ্য বোর্ডারের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ঘরেই আটকে পড়েছিলেন। বেশ কয়েকজনের দেহ মিলেছে হোটেলের সিঁড়িতে। অনুমান, আগুন থেকে বাঁচতে ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের সিদ্ধান্ত। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ঠিক ছিল কি না এবং কী ভাবে ছড়াল আগুন তা জানতে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। জানা গিয়েছে, হোটেলের দোতলায় আগুন লাগে, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়েছিল বাকি ফ্লোরেও। যাঁরা প্রাণে বাঁচতে শুরুতেই নীচে না নেমে ছাদে উঠে গিয়েছিলেন, তাদের ল্যাডারের সাহায্যে উদ্ধার করে দমকল। আরও একবার মৃত্যুকূপ বড়বাজার। অসহায় অবস্থায় মৃত্যু হল ১৩ জনের। জানা গিয়েছে, তাঁরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। অন্যদিকে, আগুন থেকে বাঁচতে গিয়ে কার্নিশ থেকে পড়ে মৃত্যু আরও এক জনের।