
‘ইনপুট’ থাকলেও পদক্ষেপ হয়নি, দাবি এনআই-এর
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার সাত দিনের মধ্যেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে ফেলল এনআইএ। নয়াদিল্লিতে সরকারি সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সহ সরকারের শীর্ষস্তরে। রিপোর্টে বেশ কয়েকটি ত্রুটির দিকে ইঙ্গিত করে পরিষ্কার বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন এবং নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির মধ্যে কোঅর্ডিনেশনের অভাব ছিল। শুধু তা–=ই নয়, গোয়েন্দাদের থেকে ‘অ্যাকশনেবল ইনপুট’ (অর্থাৎ যার ভিত্তিতে সক্রিয় ভাবে পদক্ষেপ করা হয়) থাকা সত্ত্বেও সেই মতো কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাও বলা হয়েছে। ২২ এপ্রিল বৈসরন উপত্যকার রিসর্টে জঙ্গি হামলার পরে গোয়েন্দা ব্যর্থতার দিকে আঙুল উঠেছিল। বলা হয়েছিল, ‘অ্যাকশনেবল ইনপুট’ ছিল না বলেই জঙ্গিদের মুভমেন্ট সম্পর্কে নিরাপত্তাবাহিনী কিছু জানতে পারেনি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রিপোর্টে এই অভিযোগ জোরালো ভাবে খণ্ডন করা হয়েছে। রিপোর্টে দাবি, ‘ইনপুট’ ছিল। কিন্তু বৈসরন এলাকায় সাধারণ পর্যটকদের যাতায়াত বাড়লেও সেই ‘ইনপুট’ কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এই প্রেক্ষাপটেই উঠে আসছে রিপোর্টের আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বৈসরন সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন থাকা দু’কোম্পানি সিআরপিএফ-এর মধ্যে এক কোম্পানি সরিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। এর ফলে অনেক আলগা হয়ে যায় বৈসরনের নিরাপত্তা বেষ্টনী। সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, এই এক কোম্পানি বাহিনী সরিয়ে দেওয়ার কারণে হামলার ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সিআরপিএফ-এর ১১৬ ব্যাটেলিয়নের এক ঘণ্টাও বেশি সময় লেগেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। আর এই কারণেই জঙ্গিদের গা ঢাকা দিতে সুবিধে হয়েছে বলে সাফ জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাত্পর্যপূর্ণ হলো, বৈসরনের যে রিসোর্টে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেটি আমজনতার জন্য খুলে দেওয়ার আগে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করা হয়নি বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করেছে এনআইএ। এ প্রসঙ্গেই তাদের দাবি, রাজ্য প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল স্পষ্ট।