
উত্তরবঙ্গে পদ্মশিবিরে বড় ধাক্কা! তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে পদ্মশিবিরে বড়সড় ভাঙন। জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখালেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সংসদ । উন্নয়নের কাজে বাধা পেয়েই তিনি বিজেপি ছাড়লেন বলে দাবি করেন জন বার্লা ৷ বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা নিজের হাতে তুলে নিলেন উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই চা-বলয়ের নেতা । কয়েকদিন আগে, জন বার্লাকে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় । তখনই রাজনীতির কারবারিরা মনে করছিলেন, শীঘ্রই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন । সেই জল্পনাই আজ সত্যি হল ৷ এই বিজেপি নেতার তৃণমূলে যোগদানের সময় তৃণমূল ভবনে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ৷ ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও । বর্ষিয়ান নেতার তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “দীর্ঘদিন চা-বলয়ে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জন বার্লা । তিনি বিশিষ্ট আদিবাসী নেতা, জনগণের মাঝে তাঁর ভাবমূর্তি যথেষ্ট ভালো । দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মা-মাটি-মানুষের জন্য কাজ করতে চাইছিলেন । আজ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর যোগদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন । কেন তিনি দল ছাড়লেন, সেটা তিনি নিজেই বলবেন । তবে এটা ঠিক, একটা একটা করে উইকেট পড়ছে বিজেপির ।” এদিকে, দলবদলের কারণ হিসেবে জন বার্লা জানিয়েছেন, তিনি উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন । চা-বলয়ের মানুষদের জন্য হাসপাতাল তৈরি করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর দলের নেতারাই পেছন থেকে তাঁকে আটকে দিয়েছেন । এ ব্যাপারে সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ করেন জন বার্লা । তাঁর দাবি, উত্তরবঙ্গে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় খরচে একটি হাসপাতাল তৈরি করার উদ্যোগ তিনি নিয়েছিলেন ৷ তবে শুভেন্দু অধিকারী সেই উদ্যোগে বাধা হয়ে দাঁড়ান । বার্লার কথায়, এমন দল তিনি করতে চান না, যেখানে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে বাধা পেতে হয় । এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করেন তিনি । মুখ্যমন্ত্রীর সকলকে নিয়ে চলা, সব ধর্মকে সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়া তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে বলে জানান বার্লা ৷ সেই কারণেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বলে দাবি করেছেন ৷