উত্তরপ্রদেশের কানপুরে আশ্রমে ভিতরে জাতীয় স্তরের তরুণী খেলোয়াড়কে মাদক মেশানো লাড্ডু খাইয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ

আশ্রমের ভিতরে তরুণীকে গণধর্ষণ। এমনই অভিযোগে উত্তাল উত্তরপ্রদেশের কানপুর। নির্যাতিতা তরুণী জাতীয় স্তরের তাইকোন্ড খেলোয়াড়। তাঁর অভিযোগ, মাদক মেশানো লাড্ডু খাইয়ে আশ্রমের মোহন্ত-সহ চার জন তাঁকে ধর্ষণ করে। পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন। তবে এফআইআর দায়ের করেছেন মে মাসে। এত দেরি কেন? তরুণীর দাবি, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। তিনি ভয়ে ছিলেন। অনেক সাহস করে মে মাসে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, আশ্রম থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা। কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনা ঘটল কী ভাবে? নির্যাতিতা তরুণী কানপুরেরই বাসিন্দা। কাপড়ের ব্যবসা করবেন বলে ভাড়ার দোকান ঘরের খোঁজ করছিলেন। এলাকার একজনকে জানিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, স্থানীয় ওই বাসিন্দাই ওই তরুণীকে আশ্রমে নিয়ে যান। বলেছিলেন, ওখানে অনেক প্রভাবশালী লোকজন আছেন, তাঁরা সাহায্য করতে পারেন। এমনটাই জানিয়েছেন তরুণী। অভিযোগ, সেই আশ্রমে নিয়ে গিয়ে তাঁকে লাড্ডু খেতে দেন মোহন্ত। সেটা খেয়েই জ্ঞান হারান তিনি। তরুণীর অভিযোগ, আশ্রমের মোহন্ত-সহ চারজন তাঁকে গণধর্ষণ করে। যৌন নিপীড়নের একটি ভিডিয়োও পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশ্রমের মোহন্ত। কানপুর পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার মহেশ কুমার বলেন, ‘তরুণী ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ-এর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। একটি ভিডিয়োও জমা দিয়েছেন তিনি। পুলিশ ওই আশ্রমে গিয়েছে। তদন্ত চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

error: Content is protected !!