
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি
দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল বুধবার ৷ এবার সাজা শোনাল আদালত ৷ আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সোমবার প্রধান দোষী এ জ্ঞানশেখরনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি শোনাল চেন্নাইয়ের মহিলা আদালত ৷ আদালতের রায়, কমপক্ষে 30 বছর জেলে থাকতে হবে তাঁকে ৷ দোষী এ জ্ঞানশেখরনের বিরুদ্ধে 11টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ এদিন, প্রতিটি অভিযোগের পৃথক সাজা ঘোষণা করেন মহিলা আদালতের বিচারক এম রাজালক্ষ্মী ৷ সেই সঙ্গে বিচারক স্পষ্ট জানান, প্রতিটি সাজার মেয়াদ সমান ৷ সাজা ঘোষণার সময় বিচারক রাজালক্ষ্মী জানান, 2024 সালে তামিলনাড়ুতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ৷ মামলার শুনানিতে দোষীর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রমাণ করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা ৷ গত বছর 23 ডিসেম্বর রাতে চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর একটি ফাঁকা জায়গায় বসেছিলেন এক ছাত্রী ৷ সেই সময়, এক অজ্ঞাত পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে তাকে যৌন নির্যাতন করে ৷ ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় ৷ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ সরকারি পক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, এ জ্ঞানশেখরনের বিরুদ্ধে 11টি অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ প্রতিটি অভিযোগের স্বপক্ষে উপযুক্ত তথ্য় এবং ফরেন্সিক প্রমাণও দেওয়া হয় ৷ সাজা ঘোষণার সময় বিচারকের কাছে সর্বনিম্ন শাস্তির আর্জি জানায় জ্ঞানশেখরন ৷ তাঁর যুক্তি, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি সে ৷ যদিও, সরকারের তরফে চরমতম সাজার আবেদন জানানো হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, ঘটনার পর কোট্টুপুরম মহিলা থানায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ছাত্রী ৷ তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে বসেছিলেন ৷ সেই সময়, জ্ঞানশেখরন এসে তাঁকে হুমকি দেয় এবং যৌন নির্যাতন করে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ ৷ তদন্তের পর বিরিয়ানি ব্যবসায়ী জ্ঞানশেখরনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জ্ঞানশেখরনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য 3 জন মহিলা আইপিএস নিয়ে বিশেষ দল গঠন করে তামিলনাড়ু সরকার ৷ পরে তামিলনাড়ু পুলিশের ওয়েবসাইট থেকে যৌন নির্যাতনের ঘটনার এফআইআর ডাউনলোড করা হয় ৷ এমনকী, বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমেও দেখানো হয় সেই তথ্য ৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ পরে ঘটনার তদন্তভার সিটের হাতে তুলে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট ৷ জানা যায়, রাজ্যের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ডিএমকে-র সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে অভিযুক্তর ৷ যদিও, মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অভিযুক্তর সঙ্গে দলের সরাসরি কোনও যোগ নেই ৷ সে দলের একজন সাধারণ সমর্থক মাত্র ৷