এবার বকেয়া ডিএ পরিশোধে প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত রাজ্যের

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা পরিশোধে এবার সক্রিয় উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে তার কর্মীদের 25 শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে । এই নির্দেশ মাথায় রেখে এবার প্রযুক্তিনির্ভর এক নতুন ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য, যাতে ডিএ পরিশোধ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও নির্ভুল হয় । প্রসঙ্গত, প্রযুক্তি নির্ভর ডিএ পরিশোধ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হলেও সুপ্রিম রায়ের পর থেকে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । বরং এ নিয়ে যাবতীয় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন চন্দ্রিমা । তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে । এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক সরকারি কর্মীকে 2009 থেকে 2019 সালের মধ্যে তাঁর চাকরিজীবনের বিবরণ রাজ্যের একীকৃত আর্থিক ব্যবস্থাপনা পোর্টাল (IFMS)-এ গিয়ে জমা দিতে হবে । এই সময়ের মধ্যে যাঁরা অবসর গ্রহণ করেছেন, তাঁদেরও নিজস্ব তথ্য অনলাইনে জমা দিতে হবে । এর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কে কত টাকা বকেয়া ডিএ পাবেন । এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে নবান্ন সমস্ত রাজ্য সরকার-অনুমোদিত ও পোষিত সংস্থা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ পাঠাবে, যাতে তারা তাদের অধীনস্থ কর্মীদের তথ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপলোড করেন । এই ডেটা প্রস্তুত হলেই রাজ্যের অর্থ দফতর সুপ্রিম কোর্টে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে পারবে, যেমনটা কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে । অর্থ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, “এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা স্পষ্ট জানতে পারব কতজন কর্মী রয়েছেন এবং তাঁদের প্রত্যেককে কত টাকা করে বকেয়া ডিএ দিতে হবে । সেইসঙ্গে, কোর্টের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কাজও যথাসময়ে সম্পন্ন হবে ।” সরকারের এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি কর্মচারী মহল । এই প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের এক সরকারি কর্মচারী রমেন হাজরা বলেন, “আপনারা যা বলছেন সেই তথ্য যদি সত্যি হয়, তাহলে তো এটা আশার খবর । সুপ্রিম নির্দেশ না মানলে সরকারকে আদালত অবমাননার মুখে পড়তে হত । তবে এই সরকার না আঁচালে বিশ্বাস নেই । কাজেই কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়ার আগে আরও কিছুদিন আমরা দেখতে চাই ।” প্রসঙ্গত, এই নিয়ে রাজ্যের অর্থসচিব প্রভাত কুমার মিশ্রের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছিল ইটিভি ভারত । কিন্তু এই লেখা সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত তাঁর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।