
দিল্লির দয়ালপুরে ৯ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন, সুটকেসে মিলল দেহ
দিল্লির দয়ালপুর এলাকায় নয় বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। একটি বন্ধ ঘরে থাকা স্যুটকেস থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জিটিবি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, ধর্ষণ ও খুনের মামলাও রুজু করা হয়েছে ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷ অভিযুক্তকে খুঁজতে বেশ কয়েকটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি আশিস মিশ্র জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটটা দয়ালপুর থানা নেহেরু বিহারে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের খবর পায়। এর পরে, দয়ালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারে যে মেয়েটিকে ইতিমধ্যেই জগপ্রবেশ চন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পৌঁছে জানা যায়, ডাক্তাররা মেয়েটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। ডিসিপি-র মতে, প্রাথমিক তদন্তে, ডাক্তাররা নির্যাতিতার মুখে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন ৷ তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলেও সন্দেহ রয়েছে চিকিৎসকদের। ক্রাইম এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (FSL) দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক বা একাধিক অভিযুক্তদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করার জন্য বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও, ঘটনাস্থলের চারপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও স্ক্যান করা হচ্ছে। মৃত মেয়েটির বাবা জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর মেয়ে এলাকাতেই আত্মীয়ের বাড়িতে বরফ আনতে গিয়েছিল। অনেকক্ষণ পরেও যখন সে ফিরে না আসায়, খোঁজাখুজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে কাকার বাড়িতে যায়নি। রাস্তায় খেলছিল যারা সেই সব বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করে জানা যায় যে সে একটি বাড়িতে ঢুকেছিল। সেখানে পৌঁছে দেখা যায় বাড়িটি তালাবন্ধ ৷ তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকেরা ৷ সেখানেই একটি স্যুটকেস পড়ে ছিল ৷ সেখান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। যখন এটি খোলা হয়, তখন মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর পরে, মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পর এলাকার মানুষ ক্ষোভ ফুঁসছে। অভিযুক্তদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করার দাবিও করেছে তারা ৷