
সোদপুরের তরুণীকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বেতার মাকে আটক করল পুলিশ, তল্লাশি হাওড়ার ফ্ল্যাটে
সোদপুরের তরুণীকে নিগ্রহের ঘটনায় এখনও পলাতক অভিযুক্ত শ্বেতা খান এবং তাঁর পুত্র আরিয়ান খান। বুধবার সকালেই হাওড়ার বাঁকড়ায় শ্বেতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল পুলিশ। এ দিন শ্বেতার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সোদপুরে তরুণী নিগ্রহের ঘটনার পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। শ্বেতার বিরুদ্ধে পর্ন ভিডিয়ো করার অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, প্রভাবশালীদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল শ্বেতার। তদন্তের স্বার্থেই তাঁদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো জরুরি ছিল। কিন্তু এর জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা আদালতে আবেদন করলে বুধবার সেই অনুমতি দেন হাওড়া আদালতের ভারপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। সকালেই শ্বেতার ফ্ল্যাটে যায় পুলিশের একটি টিম। শ্বেতার মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিশ। শ্বেতার কুকীর্তি সহ্য করতে না পেরে তাঁর কিশোরী মেয়ের আত্মহত্যা, প্রাক্তন স্বামীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। শ্বেতা ওরফে ‘ফুলটুসি ম্যাডাম’কে নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেশীদেরও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাঁকড়ার যে বাড়িতে মা-ছেলে থাকতেন, সেই বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ড্রাইভ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ওই বাড়িতে কার কার যাতায়াত ছিল, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, সোদপুরের এক তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। প্রায় পাঁচ মাস ধরে আটকে রেখে ওই তরুণীকে শ্বেতা এবং তাঁর ছেলে আরিয়ান অত্যাচার করত বলে অভিযোগ ছিল। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তরুণীদের ডেকে তাঁদের দিয়ে পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা করা হতো বলেও অভিযোগ।