
পুলিশের জেরার মুখে কান্না ভেঙে পড়লেন সোনম, স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার নেন
অবশেষে পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়লেন হনিমুনে স্বামীকে খুনে অভিযুক্ত সোনম রঘুবংশী। পুলিশের জেরায় স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের চক্রান্ত করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সোনম। মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়ে একথা স্বীকার করে নেন তিনি।১১ মে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে সোনমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিয়মায় শিলং যাওয়ার পরিকল্পনা করেন নবদম্পতি। অভিযোগ, তার আগেই প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন সোনম। গুয়াহাটির টিকিট কেটেছিলেন সোনম নিজেই, বাকি প্লট সাজিয়েছিলেন রাজকে ফোন করে। মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ২৩ মে থেকে নিখোঁজ থাকার পর ২ জুন মেঘালয়ের একটি খাদ থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্ত্রী সোনম। রাজার দেহ উদ্ধারের সাত দিনের মাথায় গত ৮ জুন রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুর থেকে নিজেই ফোন করে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সোনম, এর পরেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।তদন্তে পুলিশ জানতে পারে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। তার সাহায্যে সুপারি কিলার দিয়ে স্বামীকে খুন করান সোনম। সোনমের পাশাপাশি রাজও এখন পুলিশের হেফাজতে। তা ছাড়াও আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হল আকাশ রাজপুত, বিশাল সিং চৌহান, আনন্দ কুড়মি। সকলেই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বুধবার শিলংয়ে নিয়ে গিয়ে সোনম ও তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াকে টানা জেরা করে পুলিশ। ৪২টি সিসিটিভি ফুটেজ, রক্তমাখা জ্যাকেট, সোনমের রেনকোট এবং অন্যান্য প্রমাণ তুলে ধরা হয় তাঁদের চোখের সামনে। জেরায় ধৈর্য্য ধরে রাখতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়েন সোনম। পুলিশের সামনে কবুল করেন যে, স্বামী রাজাকে খুনের চক্রান্তে তিনিও জড়িত ছিলেন। সোনমের স্বীকারোক্তিতেই মেঘালয় মার্ডারের তদন্তে অনেকটা এগিয়ে গেল পুলিশ।